অরিএান ব্রিজের উপড় দাঁড়িয়ে আছে।আজ ১৫বছর পরে তার নিজের উপড় নিজের এত রাগ হচ্ছে।এ রাগের কোনো কারন খুঁজে পাচ্ছে না সে।কেনো এত রাগ হচ্ছে??কেনো??সুধু একটা মেয়েকে থাপ্পড় দিয়েছে বলে তার নিজের উপড় এত রাগ হচ্ছে এটা সে মানতে নারাজ।তার ধারণা সে তো অনেক মেয়েকে এমন থাপ্পড় দিয়েছে।তখন তো এত রাগ হয় নায় তবে এখন কেনো হচ্ছে??why??চোখ গুলো বন্ধ করলেই মেয়েটার পানি ভড়া নীলাভ চোখ জোড়া ভেসে উঠছে।তাই চোখ বুজেও শান্তি পাচ্ছে না।আকাশ আজ মেঘলা করেছে।মনে হয় বৃষ্টি হবে।ফাগুনের শেষে এমন বৃষ্টির আভাস খুব কম পাওয়া যায়।তবে আজ কেনো এমন হচ্ছে?? অরিএান তার উদাসী মন নিয়ে আবার গাড়িতে উঠে বসে।গন্তব্য যানা নেই।
ওয়াসেনাত রাস্তা দিয়ে হাটছে।তার হাতে ১২টা শপিং ব্যাগ।গত ২২ তারিখ তার জন্মদিন ছিল।তাই আজ ছোটোখাটো পার্টি দিবে।সেদিনই দিত তবে ওই অরিএানের পার্টি অর্গানাইজেশন করতে গিয়ে আর দেওয়া হয় নাই।ওয়াসেনাতের পার্টি মানেই ভিন্নতা রয়েছে।রাত ৭.১৫ বাজে।এখন তার গন্তব্য পাশের একটা হোটেলে। আসলে হোটেলে বললে ভুল হবে এটা একটা ছাঁউনির হোটেল।এখানে তেমন কোনো ইট পাথরের হোটেল নেই।ছাঁউনির নিচে দোকান আর খোলা আকাশের নিচে কিছু টেবিল।ছাঁউনির নিচে বিরিয়ানির, ফুচকা, চটপটির,আইসক্রিমের কিছু দোকান আছে।এটা ওয়াসেনাতের প্রিয় হোটেল। তার বিশেষ দিনে সে তার বিশেষ মানুষ গুলোকে এখানে ট্রিট দেয়।আজও দিবে।তাই এখানে আসা।ওয়াসেনাত তার গন্তব্য পৌঁছে গেছে।সেখানে আগে থেকেই সব রেডি করে রাখতে বলেছে।ওয়াসেনাতকে দেখেই এক ঝাঁক ছেলে মেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে।ঠিক সে সময়ে অরিএান হাইওয়ে দিয়ে যাচ্ছিলো।ওয়াসেনাতকে এভাবে দেখে সে থমকে যায়।সাথে সাথে গাড়ি থামিয়ে নেমে পরে।এখন কেনো যেনো তার অশান্ত মনটা হঠাৎ দমকা হওয়ায় ঠান্ডা হয়ে যায়।সে কিছু না ভেবে এগিয়ে যায় ওয়াসেনাতের কাছে।জায়গাটা শুনশান নিরব টাইপের। অল্প লোকের সমারোহ আছে।আসলে এখানে রাত৭.০০মনে অনেক রাত।ওয়াসেনাতের কাছে গিয়ে দেখে ১০-১২টার মত বাচ্চা ছেলে মেয়ে আছে।আর ১টা বড় ছেলে এবং মেয়েও আছে।সে তাদের কথোপকথন শুনতে পাচ্ছে।ওয়াসেনাত বলছে……..
ওয়াসেনাত :বাচ্চারা কি খবর।এত খুশি কেন।আর তোমরা তো আজ অনেক তাড়াতাড়ি চলে এসেছ। sorry আমি আজ লেইট হয়েছি।আসলে কাজ ছিল।(হাটু গেড়ে বসে কথা গুলো বলেছে।সে ভেবেছে বাচ্চা গুলো ভুলে গেছে আজ তার জন্ম দিনের পার্টী। কারন প্রতি বছর তো ঠিক টাইমে পালন করে তবে এবার পারে নাই।)
হঠাৎ বাচ্চাদের মধ্যে একজন ওয়াসেনাতের চোখ বেধে দেয়।ওয়াসেনাত অবাক হলেও কিছু বলে নাই।ওরা ওয়াসেনাতের হাত ধরে ওকে একটা টেবিলের সামনে দাড় করায়।তারপর ওয়াসেনাতের চোখ খুলে দেয়।সামনে তাকিয়ে ওয়াসেনাতো অবাকের উপড় অবাক এটা ভেবে এদের মনে আছে।আর সামনের খাবার গুলো দেখতো সে আরও অবাক।হাতে বানানো কেক,নানা রকমের পিঠা,আর খুব সুন্দর করে হাতে বানানো ফুল আর কার্ড।এগুলো দেখে ওয়াসেনাত খিলখিল করে হেসে উঠে যা দেখে অরিএান বড় সর একটা ধাক্কা খায়।তার হার্টবিড প্রচুর গতিতে চলতে থাকে।সে তার বুকে হাত দিয়ে মুগ্ধ নয়নে সামনে তাকিয়ে আছে।এত সুন্দর মায়া ভরা হাসি কেউ কিভাবে হাসতে পারে।দোকান গুলোর চারপাশে ফেরি লাইটের সমারোহ। এটা দেওয়ার কারন যাতে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষ করতে পারে।
বাচ্চারা সবাই চিৎকার করে বলে উঠে::শুভ জন্মদিন আপিই।
ওয়াসেনাতের চোখমুখ খুশিতে চকচক করছে।সে সবার গালে অনেক গুলো চুমু খায়।তারপর সাবাইকে ধন্যবাদ দিলো।তাদের সাথে থাকা ছেলেটা আর মেয়েটা এগিয়ে এসে বলে…………..
শুভ জন্মদিন। তবে লেইট। 😂😂
ওয়াসেনাত :হাসার কিছু হয় নাই। দেখ রিমি আর অরুপ হাসবি না 😡😡।আমি অনেক ব্যস্ত মানুষ তোরা তো জানোস। তইলে হাসছিস কা??😔
অরুপ :যানি তো ওয়াসু তুমি খুব বিজি পার্সোন।তাই দেখো আমি হাসছি না(বলেই আবার হাসা শুরু করে)
ওয়াসেনাত অরুপা বলেই তাকে দৌড়াতে শুরু করে। দৌড়াতে দৌড়াতে ওয়াসেনাত পড়ে যেতে নেয় ভয়ে চিৎকার করে উঠে ঠিক তখন দুটি হাত তাকে ধরে ফেলে।ওয়াসেনাতো হাপাতে হাপাতে শেষ।ওয়াসেনাতের চিৎকার শুনে সবাই এগিয়ে আসে।ওয়াসেনাত নিজেকে নিচে পড়তে না দেখে উপড়ে তাকায়। এবার তো সে চরম অবাক+বিরক্ত। আজ হচ্ছেটা কি তার সাথে।যেখানে যায় এই লোক এসে হাজির।কচুটা।ভালোলাগে না। যতসব।
ওয়াসেনাত বলল:এই ব্যাটা তোর সমস্যা কি?যেখানে যাই তুই এসে হাজি হস।থাপ্পড়টা ভুলিনি। (রাগি গলায় বলে উঠে)
সবাই অবাক ওয়াসেনাতের কথা শুনে। বাচ্চগুলা প্রশ্ন করে বসে…………….
আপিই এই সবুজ চোখ ওয়ালা আঙ্কেল কে??
ওয়াসেনাত :এইটা একটা শয়তান টাইপের আঙ্কেল । (ভাবনিয়ে মুখে ভেংচি কেটে)
রিমি আর অরুপ একজন আরেক জনের মুখ চাওয়া চাই করছে।তারা অবাক প্রচুর ভাবে।তারা এটা ভেবে অবাক হচ্ছে অরিএান খান এখানে কি করছে?? বা কেনো এসেছে??রিমিতো রিতিমত নাচানাচি করবে করবে ভাব।সে এক প্রকার চিৎকার করে বলে উঠে…………
রিমি:আপনিননননননননননি!!এখানে…..😱😱😱
ওয়াসেনাত :ওই চিল্লাচকা।কি সমস্যা তোর।আর ওনারে কি তুই আগে থেকে চিনোস।যে ভুত দেখার মত চিৎকার দিলি।(চোখ বড় বড় করে)
রিমি:আরে ভাই এনি তো আমার স্বপ্ন পুুরুষ 😍😍
ওয়াসেনাত :রিমি লাথি খাবি😡😡।তোর কয়টা স্বপ্ন পুুরুষ আছে বল। ওই পরিএান না তোর জান কলিজা সব তাইলে এরে আবার স্বপ্ন পুুরুষ কেন বললি।😡😡
শুরু হয়ে গেছে এদের পকপকানি।এরা একপ্রকার ঝগড়ুইটা মাইয়া।এক বার লাগলে ছাড়াছাড়ি নাই।তাদের এই অবস্থা দেখে অরিএান হতবাক। অরুপ এটা বুঝতে পেরে অরিএানের পাশে এসে দাড়ায় আর বলে………….
অরুপ :এরা এমনই। by the way i’m arup shekh.shekh group of industry আমাদের। আপনার সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগছে।but আপনি কি ওয়াসু কে চিনেন।(হাত বারিয়ে)
অরিএান :হুম। (গম্ভীর ভাবে)বাচ্চা গুলো ওয়াসেনাতের কি হয়।
অরুপ এমন কথায় অবাক হলেও বলে উঠে:ওয়াসুর কিছু হয় না।এখানে কিছু বাচ্চা সামনের বস্তির আর কিছু বাচ্চা এতিমখানার।ওয়াসু এদের পড়ায়।আর মাঝে মাঝে gift দেয় খাওয়া দাওয়া করায় এবং নিজের বেতন দিয়ে হেল্প করে।এমন আরও বাচ্চা আছে তবে ছোটোতো তাই আসে নাই।সবাই ওকে অনেক ভালোবাসে সাথে ওয়াসুও। ২২ তারিখ ওয়াসুর জন্মদিন ছিল।তাই আজ ট্রিট দিচ্ছে। (কথাগুলো বলতে বলতে ওর মোবাইল বেজে উঠে।অরুপ একটু দুরে গিয়ে কথা বলতে লাগে)
অরিএানের অরুপের মুখে ওয়াসু নাম শুনে প্রচুর রাগ উঠছে।তারপর ওয়াসেনাতের কার্যকলাপ গুলো ভেবে অবাক হচ্ছে। এখন কার যুগের ছেলে মেয়েরা বড় বড় রেস্টুরেন্টে বন্ধুবন্ধব নিয়ে পার্টি করে থাকে আর এ মেয়েটা সবার থেকে আলাদা।আসলে আলাদা বলেই অরিএানের মন কেড়েছে। কথাটা ভাবতেই অরিএান হালকা হাসলো।সাথে সাথে আবার নিজে নিজে বলে উঠে:কি সব ভাবছি আমি😒😒।
অরুপের বাবা অসুস্থ হয়ে পরেছে তাই তাকে যেতে হবে সাথে রিমিও।কারন অরুপ আর রিমি ভাই বোন।রিমি আর ওয়াসেনাত স্কুল লাইফের বান্ধুবি একসাথে কলেজেও পড়েছে এখন ভার্সিটিতে পড়ে।ওয়াসেনাত মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাএ মেয়ে। বাবা,মা,আর ছোট্ট দুই ভাই নিয়ে তাদের ছোটখাটো হাসিখুশি পরিবার।বাবা একটা কোম্পানিতে জব করে আর মা গৃহিণী। তবে দুঃখের কথা ওয়াসেনাতের মা চোখে দেখে না।দুবছর আগে এক দুর্ঘটনায় তিনি পুরপুরি ভাবে অন্ধ হয়ে যান।অন্ধ হলেও তিনি এক দারুন মহিলা।তার কার্যকলাপ দেখলে কেউ বলবে না তিনি অন্ধ।কারন এখনও তিনি নিজে রান্না করে ঘরের যাবতীয় কাজ করে।ওয়াসেনাত বা বাড়ির কেউ করতে চাইলে তার মনে হয় তার অক্ষমতা সবাই তাকে দেখিয়ে দিচ্ছে। তাই ওয়াসেনাত তার সামনে তাকে তেমন হেল্প করে না।তবে তার পিছনে মানে তার অনুপস্থিতে সে অনেক কাজ করে।তার আম্মুুুু হেল্পের জন্যে একটা ভাল মেয়েকে কাজে রেখেছে।এতেও তার মা নারাজ তবে সে বুঝিয়েছে অসহায় মেয়ে তাই কাজ খুজছিলো তাই সে নিয়ে এসেছে।ওয়াসেনাতের বাবা সিলেট থাকে কাজের সুবাদে।আর ওরা ৪জন এখানে থাকে।ওয়াসেনাত এবার ভার্সিটির তৃতীয় বর্ষের স্টুডেন্ট সাথে ওয়েডিং প্ল্যানার হিসেবে অরুপদের কোম্পানিতে কাজ করে।অরুপ ওয়াসেনাতকে অনেক আগে থেকে পছন্দ করে তবে এখনও বলা হয়ে উঠেনি।
অরুপ আর রিমিকে যেতে হবে তাই ওয়াসেনাত কেক কাটতে চলে আসে।রিমি তো অরিএানের সাথে কথা বলেই যাচ্ছে তবে সেদিকে অরিএানের খবর নাই। কারন সে তো ওয়াসেনাতকে দেখছে।কেনো যেনো এই মেয়েকে দেখলে তার হার্টবিড দ্রুত চলে।মনে হয় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।তখন মন চায় ওয়াসেনাতের নরম নরম কোমলতা জড়ানো লাল ঠোঁট জোড়ায় নিজের ঠোঁট বসিয়ে প্রান ভরে শ্বাস নিতে।সে ভেবে পায় না কেনো তার এই ইচ্ছা জাগছে।
কেক কাটা শেষ করে ওয়াসেনাত সবাইকে খাইয়ে দেয়।তবে অরিএানকে রিমি খাওয়াতে যায়।এটা দেখে কেনো যেনো অরিএানের খুব রাগ হয় তাই সে খাবে না বলে।রিমি অরিএানের সভাব যানে। তাই সে কিছু বলে না।রিমি আর অরুপ যাওয়ার সময় অরুপ বলে………..
gift পাওনা রইলো।
ওরা চলে গেলে ওয়াসেনাত সবাইকে তার নিয়ে আসা পেকেট গুলি দেয়।আর বলে………
ওয়াসেনাত :শুক্র বারে আমার সাথে যখন ঘুড়তে যাবি সবাই এই জামাগুলো পড়বি।এবার চল খাওয়াদাওয়া করি।আবার বাসায় যেতে হবে তো।
নতুন জামা পেয়ে বাচ্চারা মহা খুশি।তাদের হাসির দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে ওয়াসেনাত। অরিএান একবার ওয়াসেনাতকে দেখছে তো একবার বাচ্চাদের দেখছে।অরিএানের কাছে মনে হচ্ছে সে এখন সব চাইতে সুখের স্থানে দাঁড়িয়ে আছে।যেখানে এক পরী আছে আর তার সাথে কিছু জান্নাতের ফুল।
ওয়াসেনাত খাবার অডার করতে গেছে তার সাথে অরিএানও। তবে সে খাবার অডার করতে না। ওয়াসেনাত সাথে কথা বলতে…
অরিএান :ওয়াসেনাত আমার তোমার সাথে কথা আছে।(একটু নার্ভাস নার্ভাস হয়ে)
ওয়াসেনাত :আপনার সাথে কথা নাই।(ভাবনিয়ে)😒
অরিএান :তোমাকে শুনতে হবে। বলতে না soশুনো।(রাগী গলায়)
ওয়াসেনাত :আচ্ছা বলেন। কি বলবেন(বুকে হাত গুঁজে অন্যদিকে তাকিয়ে😏😏)
অরিএান :আসলে আমি তোমাকে থাপ্পড়টা মরতে চাইনি।আসলে আমি তখন রেগে ছিলাম।আর তুমিও ভুল টাইমে ধাক্কা দিয়েছ তাই…….
ওয়াসেনাত :ওয়েট ওয়েট আমি আপনাকে ধাক্কা দিছি নাকি আপনি খাইছেন।😡😡
অরিএান :আচ্ছা আমি দিয়েছি। ok এবার তো কথা বলোও।
ওয়াসেনাত :না বলবো না। আগে ক্ষমা চান।
অরিএান মনে মনে বলছে আমি তো কখনও কারও কাছে ক্ষমা চাইনি তবে এখন কিভাবে চাইব।না অরিএান তোকে চাইতেই হবে।……
অরিএান : ok.i, i,(অনেক বার বলার চেষ্টা করছে তবে পারছে না)
ওয়াসেনাত অরিএানের অবস্থা দেখে ঠোঁট টিপে হাসছে।তবে কিছু বলছে না।
অরিএান : I’m sorry (চোখ বন্ধ করে)
এটা শুনে ওয়াসেনাত হু,হা,করে হাসতে শুরু করে।যা দেখে অরিএান হাবার মত তাকিয়ে থাকে।কারন এ হাসির কোন কারন সে খুজে পাচ্ছেনা।ওয়াসেনাত এবার বলে উঠে….
__যান ক্ষমা করে দিয়েছি।আসলে আমি কারও উপড় রাগ করে থাকতে পাড়ি না।চলেন আমাদের সাথে খাবেন।
।
সবাই খাওয়াদাওয়া শুরু করে।কিন্তু অরিএান সুধু তাকিয়ে আছে।কারন সে এমন তেল জাতীয় খাবার খায় না।তাই অসহায়ের মত খাবারের দিকে তাকিয়ে আছে।ওয়াসেনাত এটা দেখে বলে উঠে….
__খাবেন না??? যদি না খান তবে আপনার sorry ফিরিয়ে দিব।
__sorry কিভাবে ফিরিয়ে দেওয়া যায়??🙄
__সে টা আপনাকে বুঝতে হবে না।আগে বলেন খাবেন কি না?
__খাবো।
খাবো তো বলে দিলো তবে কিভাবে তা অরিএানের যানা নেই।একে তো তেল তার উপড় চামুছ ছাড়া কিভাবে খাবে।তবে তাকে খেতেই হবে।তাই হাত দিয়ে খাওয়া শুরু করে প্রথমে আনইজি লাগলেও পরে ভালো লাগছে।তবে সে দুই তিন লোকমা খেয়ে আর খায় নাই। বাচ্চাগুলো তো অরিএানের সাথে বক বক করেই চলেছে।তবে অরিএান হু বা হা বলেই জবাব দেয়।এর আগে কখনো সে বাচ্চাদের সাথে কথা বলে নি। তাই যানে না। কি বলা উচিত।
খাওয়াদাওয়া শেষে ওয়াসেনাত তার বাসার জন্যে পেকেটে করে খাবার নিয়ে নেয়।তারপর বাসায় যাওয়ার জন্যে হাটা ধরে। তার সাথে বাচ্চারাও আছে কারন বস্তির পাশের বিল্ডিং এ ওয়াসেনাতরা থাকে। যাওয়ার সময় হঠাৎ পাপড়ি নামের বাচ্চা মেয়ে ওয়াসেনাতকে বলে…….
__আপি এটা তোমার জন্যে।(হাতে একটা সাদা গোলাপ নিয়ে)
ওয়াসেনাতো খুশিত লাপিয়ে উঠে কারন এটা তার প্রিয় ফুল।অরিএান পাশে দাড়িয়ে ছিলো।ওয়াসেনাতের লাফানি দেখে সে অবাক।ওয়াসেনাত ফুলগুলো নিয়ে তার গালে অনেক চুমু খায়।তারপর বলে…..
__কোথায় পেয়েছ বাবু এটা।(কলে নিয়ে)
__আম্মু যেখানে কাজ করে সেখানের বাগান থেকে।
__তুমি কি চুরি করেছ??😡😡
__না তো ওই মালি আঙ্কেলকে বলেছি সে দিয়েছে।
__good girl. তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। (গালে চুমু খেয়ে)
অরিএান ভাবছে সেও যদি সাদা গোলাপ দেয় তবে কি ওয়াসেনাত তাকেও চুমু খাবে??কেনো যেনো তার এটা করতে ইচ্ছে করছে।তবে তা সম্ভব না এটা সে যানে।অরিএান ওয়াসেনাত কে বাড়ি দিয়ে আসতে চেয়েছে। তবে ওয়াসেনাত বলেছে লাগবে না।অনেক বলার পরেও ওয়াসেনাত যখন রাজি হলো না তাই সে নিজের হোটেলের উর্দ্দেশ্যে রওনা হয় আর ওয়াসেনাত বাচ্চাদের নিয়ে চলে যায়।
অরিএান হোটেলে তার রুমে ডুকে দেখে তার বেডে আজও মেয়ে এসে হাজির। আজ তার কোনো মেয়েতে ইন্টারেস্ট লাগছে না।তাই মেয়েটাকে চলে যেতে বলে।আজ তো তার সব জুড়ে ফেড়ি পরীর অবস্থান…………💖
[💖💖বাকিটা পরের পর্বে যানানো হবে]💖
আসলে আমি সংক্ষেপে গল্প লিখতে পারি না।সব সময় ব্যাখ্যা মূলক ভাবে লিখতে পছন্দ করি।তাই অনেক কিছু লিখি যাদের ভালো লাগবে না তারা এড়িয়ে চলবেন।আর আমি HSC examiner তাই নিজের পড়া শেষ করে গল্প লিখি তাই দেড়ি হয়।আর তাড়াতাড়ি লেখি তাই বানানও ভুল হয়। দ্বিতীয় বার পড়ে দেখতে পাড়ি না।তাই মহান আল্লাহর দেওয়া মহত গুন ক্ষমার চোখে দেখবে। plzz☺