ভালবাসার রাজপ্রাসাদ | পর্ব – ৭ | তুষারে অগ্নিপাত

31 Min Read

এলোমেলো রুক্ষ চুলের মধ্যে নরম আঙ্গুলের স্পর্শে অভির ঘুম ভেঙ্গে গেল। চোখ মেলে চেয়ে দেখল সামনে পরীর হাসি মাখা মিষ্টি চেহারা। বিছানার ওপরে ওর পাশে বসে পরী ওর দিকে মিষ্টি হাসি নিয়ে তাকিয়ে আছে। অদ্ভুত এক মধুর আলোর ছটা যেন ওর সারা মুখে মাখা। বেশ খানিকটা ঝুঁকে পড়ার জন্য অভির বুকের ওপরে ওর ঘন কালো চুল খেলা করছে। পরীর মিষ্টি হাসি দেখে অভির বুকের ভেতরে গত কাল রাতের পাথরটা যেন সরে গেল। চেয়ে দেখল ঘরের মধ্যে সকালের মিষ্টি রোদের খেলা।
বিশাল জানালার পর্দা গুলো একদিকে সরান, মনে হয় পরী বাইরের শোভা দেখছিল। ওর দিকে চেয়ে একটু হাসল অভি। পরী ওর মুখের ওপরে ঝুঁকে ওর কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিল। ঝুঁকে পড়ার ফলে অভির চিবুক পরীর উন্নত বক্ষে স্পর্শ করল।
“উঠে পড়ো সোনা।”
মৃদু নাকে নাক ঘষে দিল পরী তারপরে আলতো করে ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিয়ে একটা সুন্দর চুমু খেল। অভি ওর মুখের ওপর থেকে চুলের গুচ্ছ সরিয়ে দিয়ে মাথা টা আরও কাছে ঠেনে নিল যাতে চুম্বন টা আরও নিবিড় হয়ে যায়। ঠোঁটে ঠোঁট চেপে রইল দুজনে কিছুক্ষণ।
পরী, “কাল রাতের জন্য ক্ষমা করে দাও।”
অভি বিছানায় উঠে বসল। পরীর হাত দুটি হাতের মধ্যে নিয়ে ক্ষমা চাইল, “না হানি, আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমার উচিত হয় নি তোমার ওপরে ওই রকম ভাবে চিৎকার করার। সত্যি বলছি আমাদের এখানে আসাই উচিত হয়নি।”
পরী, “হ্যাঁ তুমি আমার ওপরে চিৎকার করেছিলে ঠিকই, কিন্তু এই জায়গাটার ব্যাপারে আমি ভুল ছিলাম। কাল রাতে আমি যা বলছি তার জন্য সরি।”
অভি মজা করে জিজ্ঞেস করল, “তাহলে তোমাকে কখন সিমলা পৌঁছে দেব?”
পরী দু’হাতে অভির গলা জড়িয়ে ধরে ফিসফিস করে বলল, “আমি অন্য কোন জায়গার কথা জানিনা কিন্তু পৃথিবীতে যদি কোথাও স্বর্গ বলে কিছু থাকে তাহলে সেটা এখানে আছে।”
অভি ওর পাতলা কোমর জড়িয়ে ধরে কোলের ওপরে টেনে নিল। অভির জানুর ওপরে পরীর কোমল নিতম্বের স্পর্শে ওর সারা শরীরে শিহরণ খেলে গেল। পরী ওর অর্ধশায়িত বুকের ওপরে নিজেকে সঁপে দিল। পরনে রাতের হালকা গোলাপি হাত কাটা নাইট ড্রেস। বক্ষের অধিকাংশ অনাবৃত, অভির চোখ গেল পরীর গভীর বক্ষ বিভাজনের দিকে। পরীর নরম গালে নাক ঘষে দিল অভি।
পরী মৃদু স্বরে বলল, “উম্মম্মম্ম… এই জায়গাটা দারুন সুন্দর।”
অভি, “আমি জায়গাটার কথা ত জানি না হানি, কিন্তু তোমার গালের লালিমা আমাকে পাগল করে তুলেছে। তোমার ঠোঁট দুটি ভারী মিষ্টি খেতে।”
অভির বাঁ হাত পরীর নরম গোল পেটের ওপরে বিচরন করতে থাকে। আঙ্গুল দিয়ে নাভির চারদিকে আলতো করে আঁচর কেতে দেয় অভি। পরীর কোমল নিতম্ব অভির তলপেটের ওপরে চেপে বসে। সেই নরম উষ্ণ স্পর্শে অভির সিংহ মাথা উঁচু করতে শুরু করে। পরীর পীনোন্নত বক্ষ যুগল পিষ্ট হয়ে যায় অভির প্রসস্থ বুকের ওপরে। অভির মুখের ওপরে পরীর গরম শ্বাসের ঢেউ খেলে বেড়ায়। আদর খাওয়ার ফলে পরীর শ্বাসে আগুন লাগে, প্রেমের আগুন ধিকিধিকি করে জ্বলতে শুরু করে দিয়েছে পরীর বুকের মাঝে। অভি ওর কাঁধের মাঝে মুখ গুঁজে ঘাড়ের ওপরে ঠোঁট আর জিব দিয়ে আলতো করে চেটে দেয়।
আস্তে আস্তে অভির ঠোঁট, ঘাড় ছাড়িয়ে কানের লতির ওপরে চাটে। মুক্তোর কানের দুলের সাথে কানের একটা লতি ঠোঁটের মাঝে নিয়ে আলতো করে চুষে দেয় অভি। পরী ঘনঘন কেঁপে ওঠে কানের ওপরে ঠোঁটের স্পর্শে। অভির হাত পরীর পেটের ওপরে বিচরন করতে করতে ধিরে ধিরে উপরের দিকে উঠতে শুরু করে। পরী বুঝতে পারে যে অভির হাত আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওর পীনোন্নত বক্ষ পিষ্ট করে দেবে। তীব্র বাসনার ফলে চোখ বন্ধ করে নেয় পরী, আধ খোলা ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে অস্ফুট এক শীৎকার দেয়। বুকের মাঝে যেন বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়েছে, পরীর উন্নত বক্ষ যুগল বারে বারে ঢেউয়ের মতন ওঠা নামা করতে শুরু করে।
অভির হাত ঠিক পরীর বক্ষের নিচে পৌঁছে যায়। পরী আসন্ন বক্ষ পেষণের আশঙ্কায় আধ খোলা চোখ অভির মুখের দিকে তাকাল। হাত দুটি শক্ত করে ধরে রইল যাতে অভি ওর বুকের ওপরে হাত দিতে না পারে। মৃদু মাথা দোলালো পরী, “না” কিন্তু ঠোঁটে লেগে তীব্র কামনার হাসি। অভি ওর দিকে প্রশ্ন নিয়ে তাকাল।
লাজুক হেসে ফিসফিস করে বলল, “আমার লজ্জা করছে।”
শক্ত করে জড়িয়ে ধরে উত্তর দিল অভি, “এখানে আমি আর তুমি ছাড়া আর কেউ নেই।”
ঘাড়ের ওপরে মুখ গুঁজে, গলা জড়িয়ে মাথা নাড়িয়ে ফিসফিস করে বলল, “না না না… এই দিনের আলোতে তোমার ওই আগুনে চোখের সামনে আমার খুব লজ্জা করছে…”
অভি ওর কথা শুনে হেসে ফেলল, “আমার সামনে তোমার লজ্জা কিসের?”
পরী, “আমি লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছি আর তুমি হাসছ? তুমি না খুব বদমাশ ছেলে জানো।”
অভি, “ওকে, তুমি লজ্জা পেলে আর কি কি হল মনের মধ্যে সেটা একটু খুলে বলবে না।”
পরী মাথা না উঠিয়ে ফিসফিস করে বলল, “তুমি না ভীষণ শয়তান। আমি কিছুতেই বলব না আমার বুকের ভেতরে কেমন লাগছিল।”
অভি ওর পিঠের ওপরে হাত বোলাতে বোলাতে আবার জিজ্ঞেস করল, “একবার বলো না সোনা, শুনি না তোমার কেমন লাগছিলো”
পরী ওর কথা শুনে মৃদু চিৎকার করে উঠল, “যাও বলব না, তুমি না একটা মস্ত শয়তান আর কিছু না।”
অভির আঙ্গুল পরীর পিঠের ওপরে ওর শিরদাঁড়ায় আঁচর কাটতে থাকে। আঙ্গুল দিয়ে ঘাড় থেকে পিঠের নিচে কোমর পর্যন্ত বারে বারে আঁচর কেটে দেয়। থেকে থেকে পরীর সারা শরীর কেঁপে ওঠে বারংবার। অভির ঘাড় থেকে কিছুতেই মাথা ওঠায় না পরী।
কানে কানে বলে, “অভি, আমার খুব খিদে পেয়েছে।”
দুষ্টুমি করে উত্তর দেয় অভি, “এত যদি খিদে পেয়েছে তাহলে আমাকে খেয়ে নাও না কেন।”
অভির মাথার পেছনে আলতো করে থাপ্পর মেরে বলে, “সত্যি বলছি আমার খিদে পেয়েছ, আর দুষ্টুমি কোরোনা।”
এই বলে অভির তীব্র আলিঙ্গন থেকে নিজেকে কোন রকমে মুক্ত করে উঠে পড়ল পরী। কামনার এক সুন্দর হাসি সারা মুখে লেগে আছে, চোখ দুটি যেন প্রেমের আগুনে জ্বলছে ধিকিধিকি করে। নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে বুকের মাঝের আগুন টাকে প্রাণপণে যেন দমিয়ে রেখেছে। অভি কে হাত ধরে টেনে উঠিয়ে দিল বিছানা থেকে, ব্রাসে পেস্ট লাগিয়ে দিয়ে বাথরুমের মধ্যে ঠেলে ঢুকিয়ে দিল। অভির অনুধাবন করতে বিশেষ বেগ পেতে হল না যে সকালের রোদ এই ঘরের মধ্যে কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে দেবে।
তাড়াতাড়ি বাথরুম থেকে বেড়িয়ে এল অভি, ওর যে আর তর সইছে না পরীকে কাছে পাওয়ার। কাল রাতের ঝড় আজ সকালের রোদে সম্পূর্ণ ভাবে মুচে গেছে। বেড়িয়ে এসে লক্ষ্য করল যে পরী বিশাল কাঁচের জানাল্র পাশে বসে বাইরের দিকে একমনে তাকিয়ে পাহাড়ের অকৃত্রিম সৌন্দর্য উপভোগ করছে। ওর গায়ে অভির শাল। অভিকে দেখে কাপে চা ঢেলে দিল পরী। ওর পাশে একটা চেয়ার টেনে বসে পরী কে ওর কোলের ওপরে বসিয়ে দিল। পরী আরাম করে অভির কোলের ওপরে বসে এক হাতে ওর গলা জড়িয়ে ধরল। অভি এক হাতে পরীর কোমর জড়িয়ে ধরে বসল। অভির নচ্ছার হাত খানি পরীর কোমল পেটের পাশে আলতো করে কাতুকুত দিল।
পরী ওর দিকে মিষ্টি রেগে তাকিয়ে বলল, “এখন নয় অভি, তুমি না সত্যি একটা শয়তান।”
অভি, “ছোট্ট একটা কিস ব্যাস…”
পরী অভির কপালে ছোট্ট একটা চুমু খেয়ে বলে, “তোমাকে ছোটো বেলায় যেই রকম করে খাইয়ে দিতাম সেই রকম করে খাইয়ে দেই।”
অভি ওর নরম বুকের কাছে মুখ ঘষে জিজ্ঞেস করে, “কি খাওয়াবে আমার পরী?”
একটু নড়ে বসল পরী, মৃদু রেগ গিয়ে বলল, “ধুত ছেলে আগে খাও তারপরে দেখা যাবে” এই বলে ওর মুখের সামনে স্যান্ডউইচ এনে ধরল।
স্যান্ডউইচ খেতে খেতে পরী জানালার বাইরের দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখাল। এই প্রথম বার জানালার বাইরে, দিনের আলোয় ভালো করে জায়গা টাকে দেখল অভি। হোটেলের সামনে অনেক খানি খালি জায়গা, সাদা বরফে ঢাকা। বাঁ দিকে একটি উঁচু পাহার উঠে গেছে, সেখানে কোন গাছ পালা নেই শুধু ছোটো ছোটো ঘাস আর বরফ। সামনের বরফে ঢাকা জায়গা টার একদম শেষে একটা সুবিশাল তুষারে ঢাকা পর্বত শিখর। ডান দিকে বেশ কয়েকটা উঁচু উঁচু পাহাড়, অনেক গাছ সেখানে। প্রায় সব গাছের মাথা বরফে ঢাকা। দুই পর্বত শ্রেণির মাঝ খান দিয়ে কুলু কুলু শব্দে একটি ছোট্ট পাহাড়ি নদী বয়ে চলেছে। নদীর নাম বাপ্সা। অভি এবং পরী দু’জনেই জীবনের প্রথম বরফ দেখল আর বরফে ঢাকা পাহাড় দেখল।
পরী দূর তুষারে ঢাকা শৃঙ্গ টিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলল, “খুব সুন্দর জায়গা তাই না।”
অভি, “কাল রাতে এই জায়গার কত গুণগান করেছিলে তার কি হল।”
পরী, “শুধু আমি, তুমিও ত জানতে না জায়গাটা কি রকম দেখতে।”
অভি, “হ্যাঁ তা বটে, কিন্তু…”
পরী মিষ্টি হেসে বলল, “রাতে কথা ভুলে যেতে চাই অভি। এক নতুন সকালের সাথে এক নতুন শুরু।”
গল্প করতে করতে ওরা সকালের খাওয়া শেষ করল। পরী ওর কোলে বসে ওকে খাইয়ে দিল আর নিজে খাবারের সাথে অভির মিষ্টি আদর খেতে থাকল। ওর মুখে শুধু চিতকুলের সৌন্দর্যের জয়গান। খাওয়ার শেষে পরীর কোমর জড়িয়ে কাছে টেনে নিল, পরী ওর মুখ খনি আঁজলা করে নিয়ে আলতো করে নাকে নাক ঘষে দিল।
মিষ্টি করে ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে বলল, “আমাকে এখানে নিয়ে আসার জন্য খুব বড় একটা থ্যাঙ্ক ইউ।”
অভি ওর ডান হাত হাতে নিয়ে, কোমল আঙ্গুলের ওপরে ঠোঁট ছোঁয়াল, এক এক করে আঙ্গুল গুলো মুখে পুরে চুষে দিল। একদম আঙ্গুলের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত।
পরী ম্রিদুকনে বলে উঠল, “আবার দুষ্টুমি শুরু করে দিয়েছ।”
আঙ্গুল চোষার ফলে পরীর কমনীয় শরীর বারে বারে শিহরিত হয় যেন শরতের বাতাসে ধানের মাথা আন্দোলিত হচ্ছে। অভি ওর গায়ের শাল খানি খুলে ফেলল, পরী বাঁ হাতে অভির গলা জড়িয়ে ধরে ওর মাথা বুকের ওপরে টেনে নিল। কোমল বুকের উষ্ণতায় মুখ ডুবিয়ে দিল অভি। হাত ছেড়ে পরীর পেটের ওপরে হাত দেয়, বৃত্তাকারে বারে বারে গোল পেটের মসৃণ ত্বকের ওপরে হাত বলাতে থাকে। মাঝে মাঝে কিঞ্চিত টিপে ধরে নরম মাংস। অশান্ত ডান হাত পরীর পিঠের ওপরে বিচরন করে, ঘাড় থেকে নিতম্বের কাছে। মাঝে মাঝে ওর বাঁকা শিরদাঁড়ার ওপরে নখের আঁচর দেয় অভি।
অভি মাথা নিজের বুকের ওপরের থেকে উঠিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে পরী। প্রথমে আলতো ঠোঁটের ছোঁয়া ক্রমশ তীব্র চুম্বনে পরিনত হয়। জিবের ডগার সাথে জিব লাগে। নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে পরী, অভির সারা শরীরে কাটা দেয়।
অভি পরীর জানুর ওপরে হাত রাখে, হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত হাত বুলাতে থাকে মসৃণ পেলব জানুর ওপরে। জানু ধরে ভাল করে টেনে নেয় কোলের ওপরে। পরীর কোমল পুরুষ্টু নিতম্ব অভির তলপেটে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পরী ওর কোমল নিতম্বের মাংসের ওপরে অভির উত্তপ্ত সিংহের ছোঁয়া বুঝতে পারে। আদরের গতি ক্রমশ বেগ পায়, পরীর শ্বাসে কামনার আগুনের হল্কা। অভি পরীর জানুর ওপরে হাত চেপে ধরে, ছুঁতে চেষ্টা করে জানু মাঝে নারী সুধার কাছে। পরী চুম্বন টিকে বন্দ করে ওর চোখের দিকে তীব্র বাসনাময় চাহনি নিয়ে তাকায়।
এই প্রথম বার অভি তাঁর প্রেম নিবেদন করল, “আমি তোমাকে ভালবাসি, পরী।”
পরীর কামাগ্নিতে ঝলসান চাহনি অভির বুকের মাঝে হিল্লোল শুরু করে দেয়, “এত দিন আমি শুধু এই শোনার জন্য অপেক্ষা করে ছিলাম, অভি।” প্রেমঘন ম্রিদুকনে বলে, “এই তিনটে শব্দ বলতে এত দেরি করলে কেন অভি?”
অভি ওর মুখের ওপরে আগুনের হল্কা ছড়িয়ে দিয়ে বলে, “আমি তোমাকে কাছে পাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছি পরী। আমি তোমাকে বড্ড ভালবেসে ফেলেছি।”
চোখের কোন চিকচিক করে ওঠে পরীর, নিচু কম্পিত সুরে বলে, “অভি, আমি তোমাকে খুব ভালবাসি। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না অভি।”
অভি জিভ বের করে পরীর অধরের ওপরে আলতো করে বুলিয়ে দেয়।
পরী, “আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধর অভি, আমি তোমাকে ছেড়ে যেতে চাই না।”
ওর কথা শুনে অভির মনের ভেতরে প্রেমের আগ্নেয় গিরি গুরগুর করে উঠল। দু’জনেই বুঝতে পারল যে সম্ভাবিত মিলনের সময় কাছে এসেছে। অভি পরীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল যেন পৃথিবীর অন্তিম কাল নিকটে আর পরী একমাত্র মানুষ যে অভিকে ওই অন্তিম সময় থেকে বার করতে পারবে। পরী ওর বলিষ্ঠ বাহুপাসে নিজেকে সম্পূর্ণ রুপে সঁপে দিল।
অভি ওর কানে কানে বলল, “আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না পরী।”
পরী, “কথা দাও আমাকে যে আমাকে ছেড়ে দেবে না, আমাকে এই বিশাল নিষ্ঠুর পৃথিবীর মাঝে একা ছেড়ে যাবেনা। কথা দাও অভি।”
অভি, “আমি কথা দিচ্ছি পরী, আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাব না।”
দুজনে এঁকে অপরেকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ চুপচাপ বসে থাকে, একজন আরেকজনকে মিষ্টি আদরে করতে থাকে।
অভি মৃদুকনে পরীর কানে কানে বলে, “তুমি কি এইরকম ভাবে সারা দিন আমার কোলে চুপ করে বসে থাকবে, কিছুই কি বলবে না?”
পরী, “তোমার ভালবাসা আর আদর দিয়ে আমার হৃদয়টা পরিপুরন করে নিতে চাই আমি।”
অভির বুকের ওপরে তর্জনীর নখের আঁচর কেটে লিখে দেয় পরী, “আই লাভ ইউ।” অভি পরীর কানে কানে বলে, “আই লাভ ইউ টু হানি।”
পরী তারপরে ওর বুকের ওপরে নখ দিয়ে নিজের নাম লিখে দেয়, “শুচিস্মিতা!”
নিজের বুকে পরীর নামের দাগ অনুভব করে শিহরিত হয় অভিমন্যু।
“উম্মম কি মিষ্টি লাগছে তোমাকে…”
অভি পরীর ঘাড়ে হাত রেখে ওর মুখখানি আবার নিজের মুখের কাছে টেনে নেই, চেপে ধরে ঠোঁট জোড়া পরীর কোমল অধর ওষ্ঠের ওপরে। কামর বসিয়ে দেয় পরীর ঠোঁটের ওপরে, কেঁপে ওঠে পরী, অভির দাঁত ওর ঠোঁট জোরে কামড়ে ধরে। উন্নত বক্ষ পিষ্ট হয়ে যায় অভির প্রসস্থ বুকের ওপরে, কোমল উত্তপ্ত বক্ষের নরম মাংস লেপ্টে যায় অভির বুকের সাথে। পরীর ঘাড়ের থেকে সারা পিঠে হাত বলাতে থাকে অভি, পাতলা গায়ের কাপড় পরীর শরীরের কোমলাতে আর উষ্ণতাকে ঢেকে রাখতে পারেনা। কামনার স্ফুলিংগ যেন পাতলা কাপড় ফুঁরে বেড়িয়ে আসতে চেষ্টা করে। আধাখোলা ঠোঁটের মাঝে পরী ওর জিব বের করে অভির জিব চেটে দেয়, জিবের ডগা ঠোঁট ছাড়িয়ে নাকের ওপরে বিচরন করতে থাকে।
অভি মৃদুকনে বলে, “আমি তোমার সকাল প্রেমের আগুনে ভরিয়ে তুলবো।”
পরী ওর দিকে কাজল কালো নয়নে তাকিয়ে যেন জিজ্ঞেস করল, “আর কি করে ভরিয়ে তুলবে অভি?”
অভি পরীকে পাঁজাকোলা করে কোলে তুলে নিল, পরী ওর গলা জড়িয়ে ধরে থাকল। একবারের জন্য প্রেমের আলিঙ্গনে কোন ভাটা পড়তে দিল না দুজনে। অভি পরীকে যেই না বিছানার ওপরে বসিয়ে দিল, দুষ্টু পরী মিষ্টি হেসে পেছনে সরে গিয়ে নাক পর্যন্ত লেপটা টেনে নিজেকে ঢেকে নিল। এক টানে গায়ের গেঞ্জি খুলে ফেলল অভি। অভির প্রশস্ত ছাতি দেখে কেঁপে উঠল পরী। বুকের মাংস পেশি যেন পরীকে হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকছে। অভি পায়ের দিকে লেপ টেনে পরীকে লেপ থেকে বের করে নিতে চেষ্টা করে। পরী জোরে মাথা নাড়ায়, চোখ মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গেছে, নাকের ফুটো বড় হয়ে গেছে পরীর, নাকের থেকে গরম নিঃশ্বাস নির্গত হতে থাকে। প্রেমের আগুনে দু চোখ চিকচিক করছে।
মৃদু শীৎকার দিয়ে অভির নাম ডেকে উঠল পরী, “অভিইইইই… না…”
“কি হল?”
আবার লেপ টানতে চেষ্টা করে অভি। পরী মাথা নাড়ায়, “না লেপ ছারব না, আমার লজ্জা করছে অভি। তুমি কেন গেঞ্জি খুলে ফেলেছ অভি, কি করবে আমার সাথে?”
অভি ওর পায়ের কাছে হাঁটু গেড়ে বসে পরে, লেপের ভেতরে হাত দিয়ে পরীর বাঁ প্যে হাত রাখে, আস্তে আস্তে করে পায়ের পাতার ওপরে হাত বোলায়। মসৃণ কোমল ত্বকের ওপরে উত্তপ্ত হাতের ছোঁয়ায় পরী কেঁপে ককিয়ে ওঠে। আস্তে আস্তে লেপটা টেনে গায়ের থেকে সরিয়ে দেয় অভি। হাত জোড়া করে বুকের কাছে নিয়ে আসে পরী, প্রেমের আগুনে ঝলসানো চোখে দেখে অভিকে। অভি ওর পায়ের পাতা বুকের ওপরে চেপে ধরে, আলতো করে বুকের ওপরে যেখানে হৃদপিন্ডটি আছে সেখানে চেপে ধরে। তারপরে পায়ের ফর্সা বুড়ো আঙ্গুল টিকে মুখের মধ্যে নিয়ে চুষে দেয়। পায়ের ওপরে অভির ভেজা ঠোঁটের পরশে আর চুপ করে থাকতে পারে না পরী।
বুকের ওপরে হাত চেপে শীৎকার করে ওঠে পরী, “সোনা আমাকে মেরে ফেললে যে… অভি উফফফ…”
বাঁ হাত দিয়ে পরীর পায়ের ওপর থেকে কাপড় সরিয়ে দিল অভি, ধিরে ধিরে ফর্সা পায়ের মসৃণ বাঁকা পায়ের গুলি দিনের আলতে বেড়িয়ে পড়ল। পরী অভির কবল থেকে নিজের পা বাচানর চেস্টায় পা খানি টানতে চেষ্টা করল, কিন্তু অভি শক্ত করে পা খানি ধরে রয়েছে। অভি হাতের পাতা দিয়ে পায়ের গুলি আস্তে আস্তে করে আদর করতে থাকে, হাতের পাতায় অনুভব করে যে পরীর গায়ে কাটা উঠেছে, উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরীর মসৃণ ত্বক। শরতের মিষ্টি হাওয়ায় দোলা খাওয়া গাছের পাতার মতন কাঁপতে থাকে পরী। থেকে থেকে মৃদু শীৎকার করে ওঠে পরী। দু’চোখ চেপে বন্ধ করা, লজ্জায় সারা মুখ লাল, বুকের কাছে দুহাত জোড়া করে চেপে ধরা।
পরী শীৎকার করে বলে ওঠে, “অভি প্লিস এবারে যদি তুমি আমার পা না ছাড় তাহলে আমি মরে যাবো সোনা।”
অভি ওর কথায় কান না দিয়ে ঝুঁকে পরে পায়ের পাতার ওপরে ঠোঁট ছোঁয়ায়, জিব বের করে চেটে দেয় আঙ্গুল থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত। আর থাকতে না পেরে, বিছানায় শুয়ে পরে পরী, পেটের ওপরে শুয়ে বালিসে মুখ গুঁজে দেয়। পিঠ ওঠা নামা করতে থাকে ভীষণ ভাবে, বুকের মাঝে যেন বিশাল ঢেউ বারংবার আছড়ে পড়ছে যেন। অভি বিছানায় উঠে ওর পাশে শুয়ে পরে।
ধিরে ধিরে পিঠের ওপর থেকে লেপ সরিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে। লম্বা চুল পরীর চওড়া পিঠের ওপর থেকে সরিয়ে দেয়। পরী বালিস টাকে খামচে ধরে তার ওপরে মুখ গুঁজে পরে থাকে, আসন্ন ভালবাসার আশঙ্কায়। অনাবৃত পিঠের ওপরে নখের আঁচর কেটে দেয় অভি, কাঁধের গোলায় আঙ্গুল রেখে পরীর গায়ের কাপড়ের পাতলা স্ট্রাপ টা সরিয়ে দেয়। সরু স্ট্রাপ কাঁধ থেকে নেমে আসে বাজুর ওপরে কিন্তু শুয়ে থাকার জন্য জামা খুলতে পারেনা অভি।
মাথা উঁচু করে পরী, চিবুক বালিশের ওপরে, দু’চোখ বন্ধ, হাত দুটি মাথার দুপাসে ভাঁজ করে রাখা। অভি ওর মসৃণ পিঠের ওপরে ঝুঁকে পরে শিরদাঁড়ার ওপরে চুমু খায়। উত্তপ্ত ত্বকের ওপরে ভিজে জিবের ডগা দাগ কেটে দেয়। অভির মনে হয় যেন ফুটন্ত ত্বকের ওপরে ওর জিব লেগেছে।
পরী ভেজা জিবের ছোঁয়া পেয়ে কেঁপে উঠে মৃদুকনে বলে, “আমাকে মেরে ফেললে যে সোনা। আমার সারা শরীরে কিছু হচ্ছে যেন সোনা…”
অভির তলপেটের নিচ থেকে আগ্নেয় গিরির লাভা ফুটতে শুরু করে দেয়। অভির সিংহ মাথা উঁচু করে নিজের অস্তিতের জানান দেয়। পরীকে নিজের ওপরে টেনে তোলে অভি। অভির বুকের ওপরে উঠে নিজেদের কে লেপের নিচে ঢেকে নেয় পরী। দিনের আলতে ওর চোখ খুলতে প্রচন্ড লজ্জা করে। পরীর সামনের সারা শরীর অভির শরীরের ওপরে, বুকের সাথে বুক লেপটে গেছে, পেটের সাথে পেট, জানুর সাথে জানু আর অভির সিংহ থেমে থাকতে পারেনা। অভির মাথার দু দিকে হাত ছড়িয়ে মুখের ওপরে মুখ নিয়ে আসে পরী। অভি নিচের দিক থেকে ওর কাপড় উঠিয়ে দেয় হাঁটু পর্যন্ত।
পরী দুই জানু ফাঁক করে অভির কোমরের দুপাসে ফেলে দেয়। নরম তলপেটের ওপরে অভির পুরুষ সিংহের মৃদু ধাক্কা ওর সারা শরীরে কামনার তীব্র আলোড়ন তোলে।
কুনুয়ের ওপরে ভর দিয়ে পরী নিজের ঊর্ধ্বাঙ্গ চেপে ধরে অভির বুকের ওপরে, মুখ খানি অভির মুখের সামনে, চোখ বন্ধ। অভি ওর জিব বের করে পরীর ঠোঁটের ওপরে বুলিয়ে দেয় আবার। কপাল নামিয়ে কপালের সাথে ঠেকায় পরী, নাকের ডগার সাথে নাক ঘসা খায়, চিবুকের সাথে চিবুক। অভির নখ পরীর পিঠে গেঁথে দেয়।
অভি ওকে চোখ খুলতে বলে, মৃদু মাথা নাড়ায় পরী, “না… অভি… আমার লজ্জা করে…”
সারা মুখে কামনার তীব্র ছটা। বুকের মধ্যে তব্র আলোড়ন, নরম বক্ষ পিষে যায় অভির নগ্ন ছাতির মাংস পেসির ওপরে। মাথার পেছনের চুল মুঠি করে ধরে মাথা তুলে ধরে অভি, মরালির ন্যায় গলার ওপরে ঠোঁট আর আলতো করে দাঁত বসিয়ে দেয় অভি।
পরী শীৎকার করে ওঠে, “পারছিনা… অভি… সোনা আমার…”
ফিসফিস করে অভি বলে, “আই লাভ ইউ পরী।”
ধিরে ধিরে চোখ খোলে পরী, যেন পদ্ম ফুল পাপড়ি মেলে ধরেছে। ঠোঁট জোড়া তিরতির করে কাঁপছে, থেকে থেকে কাঁপছে চোখের পাতা, দু’চোখ চিকচিক করছে প্রেমের বন্যায়, “কি করছ অভি, এত শয়তানি লুকিয়ে ছিল তোমার মধ্যে…”
অভি দুষ্টুমি সুরে বলে, “আর অবুঝের মতন কথা বল না সোনা, যেন তুমি কিছুই জানো না”
পরী, “তোমার শয়তানি আমাকে পাগল করে তুলেছে অভি। আমার হৃদয় টা এখুনি ফেটে পড়বে অভি।”
বুকের ওপরে পরীর বুকের ধুকপুক বুঝতে পারে, মনে হয় যেন খুব জোরে একটা রেল গাড়ি দৌড়চ্ছে। অভি ওকে বলে, “আমার বুকের ওপরে তোমার বুকের শব্দ শুনতে পাচ্ছি সোনা। তুমি আমার কি বুঝতে পারছ বল?”
তলপেটের ওপরে অভির সিংহ গর্জন করে চলেছে বারে বারে, সেটা অনুভব করে পরী বলে, “শয়তান ছেলে….. বলব না।”
অভি ওর মাথা ছেড়ে হাত নামিয়ে আনে পরীর পুরুষ্টু নিতম্বের ওপরে, থাবার মধ্যে পিষে ফেলে দুই নিতম্বের কোমল নারী মাংস, চেপে ধরে পরীর তলপেট নিজের লৌহ কঠিন সিংহের ওপরে।
একটা উত্তপ্ত নিঃশ্বাস ওর মুখ থেকে বেড়িয়ে পরে, “আহহহহ…”
নিতম্বের ওপরে অভির হাত বারে বারে খিমচে ধরে, শক্ত হয়ে ওঠে অভি, সিংহ বড় জ্বালাতন করছে তাঁর সাথে হাতের মাঝে পরীর কোমল নিতম্ব। আগুন নির্গত হতে থাকে দুজনার ক্ষুধার্ত শরীর থেকে। প্রেমের ক্ষীরোদ সাগরে দুজনে সম্পূর্ণ রুপে নিমজ্জিত। ধিরে ধিরে পরীর কাপড় উঠিয়ে দিল কোমরের ওপরে, চেপে ধরল সিংহ কে পরীর কোমল জানু মাঝে। কেঁপে উঠল পরী, নারী সুধার দোরগোড়ায় অভির সিংহের পরশ পেয়ে। সেই ভীষণ ঠাণ্ডায় দুজনের শরীর থেকে ঘাম ছুটছে। গায়ের কাপড় কিছুক্ষণের মধ্যে আর শরীরের ওপরে থাকে না, কোথাও যেন উধাউ হয়ে যায়।
ওকে জড়িয়ে ধরে পালটি খায় অভি, পরী নিচে আর অভি তার ওপরে। পেলব মসৃণ জানু ফাঁক করে পরী আহ্বান জানায় অভিকে, পা দুটি উঠে আসে অভির পায়ের ওপরে। দুহাতে খিমচে ধরে অভির মাথার চুল।
ধিরে ধিরে দু’জনে প্রবেশ করে প্রেমের স্বর্গোদ্যানে। বিয়াস নদীর তীরে মিলন ঘটে দুই তৃষ্ণার্ত কপোত কপোতীর। কেউই যেন সেই মিলন টাকে শেষ করতে চায় না, বারে বারে এঁকে ওপরে কে ঠেলে নিচে করে দেয়। ঘুরতে থাকে সারা বিছানার ওপরে। প্রথম মিলনের ক্ষণ একে অপরকে ভরিয়ে দিতে প্রয়াস করে। এই মধুর মিলন ওদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কিছু মিষ্টি ব্যাথা আর প্রচুর অনির্বচনীয় সুখের রেশ টেনে একে অপরকে ভালবাসায় ভরিয়ে দেয়।
বাইরে কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে আর ঘরের ভেতরে সবে মাত্র আগ্নেয় গিরি থেকে লাভা নির্গত হয়েছে। জানালার নিচে বরফে ঢাকা। বাইরে সূর্যের মিষ্টি রোদ সারা আকাশে নেচে বেড়াচ্ছে। ঘরের ভেতরে, বিছানার ওপরে শীতকালের মিষ্টি রোদ খেলে বেড়াচ্ছে।
অভির ডান পাশে শুয়ে পরী, দুজনের গায়ের ওপর লেপ। ধবধবে সাদা বিছানার ওপরে শুয়ে আছে দু’জনে। অভির বুকের ওপরে পরীর মাথা, অভির পা আটকে আছে পরীর দুই জানুর মাঝে। অভি আদর করে পরীর পিঠে হাত বলাতে থাকে। পরী ওর বুকের ওপরে নখ দিয়ে আদর করে আঁচর কাটতে থাকে, মাঝে মাঝে ও নিজের নাম আর অভির নাম লিখে দেয় অভির প্রসস্থ বুকের ওপরে। পরীর মাথার চুলে নাক ডুবিয়ে বুক ভরে পরীর ঘ্রান নিয়ে নেয়। সারা টা সময়ে পরী একটি বারের জন্যও লেপটাকে ওদের শরীর থেকে সরাতে দেয় নি।
অনেকক্ষণ পরে মৃদু সুরে পরী বলে, “তুমি না একদম যা তা… খুব শয়তান ছেলে, আমাকে আছড়ে পিষ্টে পাগল করে তুলেছিলে…”
অভি, “কেন কি হল?”
পরী মুখ না উঠিয়েই বলে, “তুমি জানতে এই সব হবে তাই তুমি আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলে তাই না?”
অভি ওর কথা শুনে হেসে ফেলল, পরী আলতো করে একটি থাপ্পর মারে ওর বুকের ওপরে। আবার অভি ওর পিঠের ওপরে আঁচর কা্টে। পরী মৃদু কেঁপে ওঠে, “আবার শয়তানি… কোরও না প্লিস… এই ত করলে। আবার সুড়সুড়ি দিচ্ছ।”
কিছু পরে পরী বলে, “জানো অভি, জায়গাটা সত্যি খুব সুন্দর।”
অভি, “হ্যাঁ, তবে তোমার চেয়ে সুন্দর এই পৃথিবীতে আর কিছু নেই সোনা। তুমি কত নরম, কত তুলতুলে আর কত সিক্ত, আমি ত প্রায় মরে গেছিলাম তখন…”
ওর কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে ওঠে পরী, বুকের ওপরে মুখ গুঁজে ছোটো একটি চুমু খেয়ে বলে, “চুপ করবে তুমি, একদম অইসব কথা বলবে না। আমার খুব লজ্জা করে অভি।”
ওর কথা শুনে বুকের আরও কাছে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে পরীকে। পরী ফিসফিস করে বলে, “কত সুন্দর হত, ওই রকম উঁচু উচু গাছের মাঝে আমাদের একটা ছোট্ট বাড়ি হত। সামনে একটা ছোট্ট বাগান থাকত, সেই বাগানে আমি গোলাপ, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা ফুলের গাছ লাগাতাম। উঠানে একটা দোলনা থাকত আর রোজ বিকেল বেলায় সন্ধ্যের সূর্যকে বিদায় জানাতে জানাতে আমরা দু’জনে দোলনায় ঝুলতাম।”
অভি, “খুব সুন্দর পরী।”
পরী, “রোজ সকালে আমি তোমার জন্য চা নিয়ে আসতাম আর সকালে সূর্য কে আহ্বান জানাতাম ওই বাগানে বসে। পায়ের নিচে বিয়াস নদীর জল খেলে বেড়াত।”
অভি, “চা খেতে হলে টাকার দরকার, পরী।”
পরী মৃদু রেগে বুকে নাক ঘষে বলে, “যাও তুমি না একদম রোম্যান্টিক নও, আমি তোমার সাথে কথা বলব না।”
অভি, “সরি পরী, আমি তোমার সুখের স্বপ্ন টাকে ভেঙ্গে দিলাম বলে।”
আবার কিছুক্ষণ দু’জনে চুপ, খালি একে ওপরের আদর খেয়ে চলেছে। পরী ওকে জিজ্ঞেস করে, “অভি আমরা কি পুরোটা সময় এখানে থাকব না আর অন্য কোথাও বেড়াতে যাবো।”
অভি দুষ্টুমি করে উত্তর দেয়, “এই সাত দিনের কথা ত জানিনা সোনা, তবে আমি তোমার আলিঙ্গনে এই রকম ভাবে শুয়ে থাকতে চাই আর তোমাকে নিয়ে সারাক্ষণ খেলা করতে চাই।”
পরী এবারে আর বুকের ওপরে থাপ্পর না মেরে সোজা গালের ওপরে আলতো করে থাপ্পর মেরে বলে, “যাও শয়তান, আমি তোমার সাথে একদম কথা বলব না। আমাকে ছেড়ে দাও এবারে, তুমি সবসময়ে দুষ্টুমি করতে থাক।”
পরী যত নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে অভি ওকে আরও জোরে জড়িয়ে ধরে। জড়াজড়ি তে আবার মনে হল যেন দুজনের শরীরে আগুন ধরে গেল। পরী অভির সিংহের অস্তিত্ব নিজের জানুর ওপরে অনুবভ করতে পারল।
অভি পরীকে জিজ্ঞেস করল, “তুমি কি অন্য কোথাও যেতে চাও না এখানে থাকতে চাও?”
পরী, “এই জায়গাটা বড় সুন্দর, অভি। কিন্তু আসেপাশে যদি আরও কোন জায়গা থাকে তাহলে যেতে অসুবিধা কোথায়?”
অভি, “হুম… তাহলে দেখতে হবে এর আসেপাসে আর কি দেখার জায়গা আছে।”
পরী, “আই রিয়ালি লাভ ইউ অভিমন্যু।”
অভি, “উম্মম সোনা আই লাভ ইউ টু মাচ হানি।”
আবার দু’জনে জড়াজড়ি করে শুয়ে থাকল, কিছুক্ষণ পরে পরী মাথা তুলে বলল, “অভি…”
অভি, “কি?”
পরী, “এবারে আমাকে ছাড়, আমি স্নান করব।”
অভি, “যাও কে বারন করেছে।”
পরী, “না এই রকম ভাবে নয়।”
পরী হাত বাড়ায় নিজের জামার দিকে, অভি ওর জামা হাতের মধ্যে নিয়ে টেনে ধরে।
পরী, “প্লিস দিয়ে দাও সোনা।”
অভি, “রুমে আর কেউ নেই, এই রকমে চলে যাও।”
পরী, “আমার লজ্জা করে অভি, প্লিস আমার জামা দিয়ে দাও।”
অভি, “না দেব না।”
পরী ওর গালে থাপ্পর মেরে বলে, “সোনা প্লিস দিয়ে দাও না হলে…”
অভি, “না হলে কি…”
পরী, “না দিলে আমি কিন্তু আর আমাকে ছুঁতে পর্যন্ত দেব না।”
অভি, “আমি ছিনিয়ে নিতে জানি আমার জিনিস…”
পরী, “আর কি ছিনিয়ে নেবে তুমি, আমি ত সেইদিন থেকে শুধু তোমার হয়ে গেছিলাম।”
অভি, “কোন দিন?”
পরী, “বিয়ের রাতে বাসে আমার কপালে চুমু খেলে সেদিন থেকে, সেই ক্ষণ থেকে…”
অভি মিটিমিটি করে হাসতে থাকে, পরী আস্তে আস্তে বিছানা থেকে নেমে গেল। নেমে যাবার আগে লেপের ভেতরেই পরী গায়ে জামা গলিয়ে নিল। অভি উঠে বসল বিছানার ওপরে, পরী ওর মুখের ওপরে ঝুঁকে কপালে একটা ছোটো চুমু খেল। তারপরে চালে মত্ত ছন্দ তুলে নিজের জামাকাপড় নিয়ে বাথরুমে ঢুকে গেল। বাথরুমে ঢোকার আগে, ডান হাতের তর্জনী ঠোঁটের কাছে এনে, তর্জনীর ডগায় আলতো চুমু খেয়ে, অভির দিকে নাড়িয়ে দিয়ে চলে গেল।

Share This Article
Leave a comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।