এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা – সিজন ২ | পর্ব – ৩৯

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা - সিজন ২

“দিয়া এই দিয়া চোখ খোল আমি এসছি দেখ।”

কেউ আমার গালে হাত দিয়ে ডেকে চলেছে, তার কন্ঠে ভীষণ অস্হিরতা।আমার কানে তার কথা পৌছালেও আমি চোখ খুলতে পারলাম না।আমার শরীরের সমস্ত শক্তি ততক্ষণে যেনো ক্ষয় হয়ে গিয়েছে।কেউ পাগলের মতো করছে আর ডাকছে আমায় তার কন্ঠে স্পষ্ট কষ্টের রেখা বহমান।ছটফট করছে আর ডাকছে আমায়।বেশ কিছুক্ষণ পরে আস্তে করে কোনো রকম চোখ খুললাম।সব কিছু ঝাপসা দেখছি কুয়াশার মতো।চোখ বার বার খুলে দেখার চেষ্টা করলাম ঝাপসা কারো মুখ আস্তে আস্তে ক্লিয়ার হলো।কারো হাতের উপর আমার মাথা রাখা,আমার মাথায় সে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। ভীষণ চেনা তার শরীরের গন্ধ,অনুভব করতে পারলেও মুখে বলতে পারছি না।চোখ পিট পিট করে ভাল ভাবে তাকিয়ে দেখি বিহান ভাই এর মুখ।উনি এখানে কিভাবে এলেন আর আমার মাথা ই বা উনার হাতের উপর কিভাবে দু’মিনিটে উনি কিভাবে এলেন মস্তিষ্কে এই মুহুর্তে এসব প্রশ্ন আর আসছে না।মস্তিষ্ক দূর্বল হয়ে গিয়েছে।

“উনি আমার মুখে পানি ছেটাচ্ছেন আর বলছেন,আমাকে এইভাবে ভয় পাইয়ে দিলি কেনো তুই?এক্ষুণি চোখ খুলে উঠে দাঁড়া বলছি।আমি এইভাবে তোকে দেখতে পারছি না।”

“আমি জড়িয়ে যাওয়া কন্ঠে বললাম,আমার অনেক খারাপ লাগছে।মনে হয় আর বাঁচবো না।”

“উনি আমার হাতের তালু মুঠো থেকে ছড়ানোর চেষ্টা করছেন আর বলছেন,কিচ্ছু হবে না তোর দিয়া।এই এই সব কি কথা দিয়া।কখনো আর এইসব বলবি না।”

আমি আবার ও বমি করে সেন্সলেস হয়ে গেলাম।বাইরে সবার কথা কানে আসলেও আমি তার রেসপন্স করতে পারছি না।বিহান ভাই পাজা কোলে তুলে নিলেন আমাকে।রিয়াকে বললেন,কুইক এসো রিয়া। রিয়া পেছনে পেছনে আসছে আমাদের।আমাকে সাথে সাথে সদর হসপিটালে নিয়ে আসলেন।চোখে মুখে ভীষণ দুঃচিন্তা,কষ্ট,আর ভয় বিহান ভাই এর।শুধু প্রার্থনা করছেন আমি যেনো সুস্থ হয়ে যায়।ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে নিয়েই বেডে সুইয়ে দিলেন।সাথে সাথে ডাক্তার নার্স এগিয়ে এলেন।

বিহান ভাইকে হসপিটালের সবাই চিনে।ডাক্তার এবং নার্সরা সবাই বিহান কে দেখে ভীষণ অবাক হলো।

ডাক্তার বিহান ভাই এর কোলে আমাকে দেখে বললেন, কোলে কে বিহান?কি হয়েছে ওর।

বিহান ভাই খুব উত্তেজিত আর ব্যাস্ততার সাথে বললেন,শী ইজ মাই ওয়াইফ স্যার।।প্লিজ দেখুন তো ও কেনো সেন্সলেস হয়েছে।ওর বিশেষ কিছু হয় নিতো।ও কেনো এইভাবে সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে।

ডাক্তার বললেন,ডোন্ট ওয়ারি তুমি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়বা এতটা উত্তেজিত হয়ে পড়লে।বিহান তুমি নিজেও তো ডাক্তারি পাশ করেছো।রুগি দেখে এইভাবে উত্তেজিত হলে কিভাবে ট্রিটমেন্ট করবা।ডাক্তার দের উত্তেজিত হলে হয় না।

অন্য রুগি আর দিয়া এক নয় স্যার।ওর কিছু হলে পুরা পৃথিবী ঘুরতে থাকে আমার।প্লিজ ভাল ভাবে দেখুন স্যার।

“দেখেছি কিছুই হয় নি। শরীর উইক,ঠিক ভাবে খাওয়া দাওয়া হয়নি তো তাই সেন্সলেস হয়েছে।প্রচুর খাওয়ার ঘাটতি।একটা ইনজেকশন দিয়ে দিচ্ছি ঘুমের।তবে হ্যাঁ এইভাবে না খাওয়া দাওয়া চলতে থাকলে বড় কিছু হয়ে যেতে পারে।কেয়ারফুলি তার যত্ন করতে হবে।”

“স্যার ভয়ের কিছুই নেই তো।”

“এখনো পর্যন্ত নেই,তবে এর থেকে উইক হলে খারাপ কিছু হতে কতক্ষণ।এই বয়সী মেয়েগুলো প্রায় আসে তোমার ওয়াইফ এর মতো সেইম সমস্যা তারাও ভাত খায় না,পানি খায় না ঠিক ভাবে।তোমার ওয়াইফ এর পানি শূন্যতা প্রচুর।তুমি তো একজন ডাক্তার নিশ্চয়ই জানো পানি একটা মানব দেহের জন্য কত জরুরী।”

“জ্বী স্যার।”

–নার্স এগিয়ে এসে ইনজেকশন পুশ করলেন।সেখান দিয়ে একটু রক্ত বেরোলো। আমি উঁহু বলে উঠলাম ব্যাথায়।

–বিহান ভাই উত্তেজিত হয়ে বললেন,ওহ শীট আস্তে সুঁচ ফুটান।ও ব্যাথা পাচ্ছে না।উনি আমার হাত ডলে দিতে দিতে বললেন,ব্যাথা কি অনেক লাগছে।

–নার্স কিছুই বললো না।বিহান ভাই কে ভিষণ উত্তেজিত দেখাচ্ছে।চোখে মুখে দুঃচিন্তার রেখা বিরাজমান।

–ডাক্তার বললেন,বিহান চাইলে ভর্তি করতে পারো আবার বাসায় ও নিয়ে যেতে পারো।ইয়াং ম্যান বউ এর একটু সুঁচ ফুটতে যে এত রিয়াকশন দেখায় তার ওয়াইফ এমনি সুস্থ হয়ে যাবে।

ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে বেশ কিছু মানুষ আমাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে।বিহান ভাই কে এমন পাগলামি করতে দেখে বলাবলি ও হচ্ছে অনেক কিছুই।

–হসপিটাল থেকে বিহান ভাই আমাকে কোলে অটোতে তুলে বাসায় নিয়ে এলেন।বাড়ির সামনে থেকে কোলে তুলে ঘরে তুলতে দেখে বিভোর ভাই,বিভা আপু, মামা মামি সবাই এগিয়ে এলো।সবাই একে একে প্রশ্ন করেই যাচ্ছে।বিহান ভাই কারো কথার উত্তর দিলেন না।আমাকে সোজা দো’তলায় নিয়ে বেডে নিয়ে সুইয়ে দিয়ে ফ্যান ছেড়ে দিলেন।বাড়ির সবাই আমাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে।বিহান ভাই কপালে হাত ঠেকিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছেন।উনার মুখ থেকে কোনো কথায় বের হচ্ছে না।রিয়া সবাইকে বললো,আমি অসুস্থ হয়ে গেছিলাম।বাড়ির সবাই আমার চারপাশেই বসে আছে আমাকে ঘিরে।কিছুক্ষণ বাদেই ও বাড়ি থেকে সবাই এসছে।কাকিমনি,কাকুরা বাবা আম্মু ভাইয়া সবাই।আম্মুর চোখ থেকে পানি পড়ছে।আম্মু কেঁদেই যাচ্ছে।মামি বললো, ভয়ের কিছুই নেই একটু শরীর উইক।আম্মু আমার মাথায় কপালে হাত বুলিয়ে দিলো।

বিহান ভাই ঘরের বাইরে বারান্দায় গিয়ে ভীষণ মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে রইলেন।বাবা আম্মুকে বললেন,তুমি এত ভেঙে পড়লে বিহান আরো বেশী মন খারাপ করবে।ছেলেটা বাইরে আছে যাও গিয়ে বুঝাও।আম্মু বাবাকে বললো তুমি ও চলো। আম্মু আর বাবা দুজনেই বিহান ভাইকে বোঝালো যে,বিহান ভাই যেনো এইভাবে ভেঙে না পড়েন।আম্মু আর বাবার সামনেই বিহান ভাই এর চোখ দিয়ে পানি পড়ে গেলো।আম্মু আর বাবা তখন ই নিশ্চিন্ত হলো তারা আমাকে যার হাতে তুলে দিয়েছে আমার কিছু হলে তার পুরা দুনিয়া এলোমেলো হয়ে যায়।মা বাবা ভীষণ স্বস্তি পেলো।তারাও তো এমন ই চেয়েছিলো তাদের মেয়েকে বিহান ভাই এক পৃথিবী সমান ভালবাসুক।

কাকিমনি রিয়াকে বললো,বাসায় কেউ নেই রিয়া চাবি নিয়ে চলে যা।দিয়া একটু সুস্থ হলেই আমরা আসছি।তরকারি এসে রান্না করবো তুমি রাইস কুকারে ভাত চড়িয়ে দিও শুধু।

রিয়া মাথা নাড়িয়ে বললো ঠিক আছে আম্মু
।রিয়া চাবি নিয়ে বেরিয়ে গেলো।ততক্ষণে সন্ধ্যা নেমে গিয়েছে শহরে।সূর্য অস্তমিত হয়েছে পপশ্চিমাকাশে,ঈষাণ কোনে লাল আভা ছড়িয়ে পড়েছে।সন্ধার কৃত্তিম আলোর শহরে লাল গাউন পরে এক সাইডে ব্যাগ নিয়ে নিরিবিলি হেটে চলেছে রিয়া রাস্তার এক সাইড দিয়ে।রিয়ার হাইট ৫ ফিট ৪, আমার থেকে অনেক ফর্সা,কোমর ছড়িয়ে গিয়েছে চুল।এক কথায় যাকে রুপবতী বললে একটুও ভুল হবে না।লাল গাউনে রিয়াকে কোনো পরীর থেকে কম কিছু মনে হচ্ছে না।হঠাত রিয়ার পাশাপাশি হাঁটা শুরু করলেন বিভোর ভাই।বিভোর ভাই এর পরনে কালো জিন্স,কালো শার্ট ফর্সা শরীরে মানিয়েছে বেশ।পাশাপাশি হাঁটছে দুজনে,দুজনের সংস্পর্শে এসে দুজনের ই খুব ভাল লাগছে।দুজন ই মৌনভাবে হেঁটে চলেছে,তবে দুজনের মন ই কথা বলছে।দুজনের চোখে মুখে উজ্জ্বলতা, হাসির উচ্ছলতা।

বেশ কিছুক্ষণ হাঁটতে হাঁটতে,

“রিয়া বললো,কোথায় যাচ্ছেন?কন্ঠে লাজুকতা।”

“তোমাকে এগিয়ে দিতে এসছি। ”

“কেউ দেখলে মাইন্ড করবে।আমি কি ছোট মানুষ যে এগোতে হবে।রিয়ার মুখে মুচকি হাসি।”

“কে দেখবে?ছোট ছাড়া বড় কোথায়?এটুকু একটু মেয়ে।”

“আশে পাশে এত মানুষ আছে সবাই দেখবে।আর আমি মোটেও এইটুকু না।হাইট দেখেছেন।”

“হাইট তো হতেই হবে।কার বউ দেখতে হবে না।”

“এমন ভাবে বলছেন যেনো রেজিস্ট্রি করা বউ আপনার।”

“রেজিস্ট্রি করে নিতে সময় লাগবে না।যাবে এক্ষুণি।”

“রিয়া হাসছে।দুজন দুজনের দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছে আর লাজুক ভাবে হেসে যাচ্ছে।”

“রিয়া তোমার কি বয়ফ্রেন্ড আছে?”

“হঠাত এমন প্রশ্ন।”

“উত্তর দাও প্লিজ।বুক ধড় ফড় করছে।”

“যদি বলি আছে। কথাটা বলেই রিয়া হাসি আটকে দম বন্ধ ভাবে তাকালো বিভোর ভাই এর দিকে।”

“কি করে সে?”

“আমার পিছ পিছ ঘোরে। ”

“আই মিন তার প্রফেশন কি?”

“এত ইন্টারেস্ট কেনো তার ব্যাপারে।”

“কারণ তুমি মিথ্যা বলছো তাই।”

“কে বললো মিথ্যা বলছি।”

“তোমার চোখ আর মুখ।মিথ্যা তো গুছিয়ে বলতে পারো না। বলো কেনো?মজা নাও তাইনা।এই বাচ্চা ছেলেটাকে আর কতদিন ঘুরাবে।”

“যত দিন বেঁচে আছি ঘুরাবো।”

“মেয়ে মানুষ আসলেই যাদুকরী।কিভাবে একটা হ্যান্ডসাম ছেলেকে ঘুরাতে পারে।”

“না ঘুরলেই তো হয়।”

“তাহলে তো জীবন ই বৃথা যাবে রিয়ামনি।
বিভোর ভাই রিয়ার এক গোছা চুল ধরে খোপা করে বললেন, রাবার দাও বাঁধার জন্য।”

“রিয়া বেশ অবাক হয়ে বললো আপনি চুল বাঁধছেন যে।”

“কি করবো না হলে এই পরীর পিছনে কোনো জ্বীন লেগে যাবে যে রিয়া।”

রিয়া একটা রাবার বিভোর ভাই এর হাতে ধরিয়ে দিলো।দুজেন গল্প করতে করতে হেঁটে চললো।

ঘড়িতে রাত এগারোটা বাজে।বেশ সুস্থ লাগছে এখন।তবে মাথা তুলতে পারছি না।বিছানায় সুয়ে আছি আমি, উপরে ফ্যাণ চলছে।বিছানার এক কোনায় বসে আছে মামি।ফ্লোরে বসে মামির কোলে মাথা রেখে পাগলের মতো ছটফট করছেন বিহান ভাই।

“আমি আর পারছি না আম্মু,আর পারছি না।দিয়াকে উঠতে বলো প্লিজ।দিয়াকে এইভাবে দেখে আমি সহ্য করতে পারছি না,আবার চিৎকার করে কাঁদতেও পারছিনা।তুমিতো জানো আম্মু দিয়াকে আমি কতটা ভালবাসি।আমি বুঝাতে পারিনি এটাই ব্যার্থতা।মনের সাথে কয়েকদিন একটানা যুদ্ধ করেছি।ইচ্ছা করে কথা বলিনি,মনের বিরুদ্ধে এমন কাজ করতে আমার কতটা কষ্ট হয়েছে বোঝাতে পারবোনা আম্মু।দিয়ার প্রতি অনেক অভিমান হয়েছিলো,মনের গভীরে কোথাও যেনো ভয় ঢুকেছিলো,ভীষণ কষ্ট হচ্ছিলো।কিন্তু আমি তো আর পাঁচ জনের জন্য সিনক্রিয়েট করে নিজের কষ্টগুলো প্রকাশ করতে পারিনা।নিজের মান অভিমান গুলো বাইরে বের করতে পারিনা।আমার মনে হয়েছিলো দিয়া আমায় অবহেলা শুরু করেছে।আমার গুরুত্ব দিয়ার কাছে কমে গিয়েছে না হলে কত সহজে দিয়া আমার মুখের উপর মিথ্যা বলতে পারলো।তোমার ছেলে ভীষণ হিংসুটে হয়ে গিয়েছে আম্মু।দিয়া আমি ছাড়া পৃথিবীর কাউকে গুরুত্ব দিলে আমি সেটা মেনে নিতে পারিনা।দিয়ার জীবনে শুধু আমার ই গুরুত্ব থাকবে।জানো আম্মু এই ভয়ে আমি কখনো ভেতরের দূর্বলতা দিয়ার সামনে প্রকাশ করতে চাই নি।শুনেছি দূর্বলতা বেশী প্রকাশ করলে গুরুত্ব থাকে না।তবুও সেই অবহেলার স্বীকার হয়েছি।দিয়া যা করুক, যত বড় অন্যায় করুক আমার কাছে বলুক আমি মেনে নিবো এক বাক্য ক্ষমা করে দিবো।দিয়ার মিথ্যা আমি সহ্য করতে পারিনি।দিয়া আমায় কেনো মিথ্যা বলবে।দিয়ার জীবনে কিছুই আমার কাছে গোপনীয় থাকবেনা।আমার বার বার মনে হয়েছে আমার প্রতি এতই বেশী গুরুত্বহীন হয়েছে যে মিথ্যা ও বলতে দুবার ভাবছে না।বিভা আপুর সাথে কেনো যার সাথে ইচ্ছা যাক আমায় মিথ্যা বলেছে এটায় আমার কষ্ট।”

“দিয়া আসলে বিভার কথা ভেবেই এমন করেছে বাবা।তুই তো জানিস ই দিয়া বিভা বিভোর তুই সবাই কে নিয়েই কত ভাবে।”

“না আম্মু ও সবার কথা ভাবে, শুধু আমার কথা ভাবেনা।”

“কে বলেছে ভাবেনা।না ভাবলে কি মেয়েটা না খেয়ে এইভাবে অসুস্থ হয়ে যেতো।”

“না আম্মু ভাবে না।ও সবাইকে বুঝেলেও আমাকে বোঝে না।ও যদি আমাকে ভাবতো তাহলে না খেয়ে এইভাবে অসুস্থ হতোনা।ও অসুস্থ দেখে আমার নিজেকে আরো বেশী অপরাধী মনে হচ্ছে।আমার জন্যই দিয়া আজ এত অসুস্থ।ও কেনো বোঝেনি ও অসুস্থ হলে আমার পুরো পৃথিবী থমকে যায়।দিয়ার অসুস্থতায় আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।আমি দম নিতে পারছি না।”

“আমার ছেলে রাগী হলেও মন কত নরম আমিতো সেটা ভাল করেই জানি বাবা।তুমি দিয়ার কত বড় হয়েও বোঝো না।দিয়া কিভাবে বুঝবে বাবা।দিয়া সুস্থ হয়ে গেলে আর কখনো রাগারাগি করোনা।রাগ অভিমান থাকবেই তবে তার লিমিট থাকতে হবে বাবা।দিয়া তোমার ছোট দিয়ার ভুল তোমাকে ক্ষমা করতে হবে।”

আমি আস্তে করে ডাক দিলাম মামি।

বিহান ভাই চোখ মুছে দ্রুত আমার দিকে তাকালেন।

Share This Article
Leave a comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।