সাদা ওড়নাটা বিছিয়ে আছে বিছানার ওপর, নিতম্ব ছাড়ানো চুল গুলো ডানপেশে হয়ে ছড়িয়ে আছে। নরম হাত দুইটা দিয়ে মোবাইল ফোন টা ধরে উপরের দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে ভাবছে রুমাইশা বাক্যটা কিভাবে সাজালে সাফওয়ান ভাইয়ের মনপুত হবে। একবার একভাবে লিখছে তো আবার মুছে ফেলে অন্য ভাবে লিখছে, কিন্তু কিছুতেই মনের মতো হচ্ছে না৷
অবশেষে রুমাইশা অনেক ভাবনা চিন্তার পর লিখলো,
`আমার মন খারাপের কোনো গুরুতর কারণ নেই, লিটারেচারের হিস্ট্রি এক্সাম টা অনেক খারাপ হয়েছে, আমি অনেক ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, কিন্তু যেরকম আশা করেছিলাম সেরকম লিখতে পারিনি, এটাই কারণ। চিন্তা করবেন না আমার মন আর খারাপ নেই, ভালো হয়ে গেছে। ‘
লিখে টেক্সট টা সেন্ড করলো রুমাইশা।
নিজের রুমে ওয়ার্কআউট রত সাফওয়ানের ফোনে টুং করে একটা আওয়াজ হলো৷ ওয়ার্ক আউটে বিরতি দিয়ে স্বেদবারি যুক্ত শরীর নিয়ে বিছানায় অবহেলায় পড়ে থাকা ফোনের নিকট এলো সাফওয়ান। তার কঠোর পেশিবহুল ইস্পাত-দৃঢ় হাত টা দিয়ে ফোন টা তুলল সে। আননোন নম্বর থেকে একটি মেসেজ। ফোনের লক খুলে মেসেজের ভেতরে গিয়ে মেসেজটি পড়লো সাফওয়ান। কিন্তু সেই মেসেজটিকে বিশ্বাস করার মতো কোনো কারণ খুজে পেলোনা৷ এত সামান্য বিষয় নিয়ে মন খারাপ করার মতো মেয়ে রুমাইশা যে নয় সেটা তার খুব ভালো করেই জানা৷ মন খারাপের আসল কারণ উদঘাটন করতে মনে মনে তৎপর হলো সাফওয়ান৷ মেসেজ টা দেখেই ফোন রেখে দিলো, প্রতিউত্তর করলো না।
এদিকে সাফওয়ানকে আশ্বস্ত করতে পেরেছে ভেবে আনন্দিত হওয়া রুমাইশা বুঝলোই না যে তার এই ছোট্ট মিথ্যা কথা টা ধরতে সাফওয়ান এর এক সেকেন্ড ও সময় লাগে নি।
১৭. শেষ বিকালের দিকে রুনিয়া সবার জন্য নাস্তা বানাচ্ছিলেন। রুমাইশা রুনিয়াকে সাহায্য করছিলো। এমন সময় শাফিন ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে বাড়িতে ফিরলো, ফিরেই মা মা বলে চিল্লাতে থাকলো। এটা ওর স্বভাব, রুনিয়া সামনের পরে থাকলেও মা মা বলে চিল্লাবে শাফিন।
শাফিনের চিল্লানিতে রুনিয়া কিচেন থেকে হাক ছাড়লেন। শাফিন কিচেনের দিকে এগিয়ে গেলো। এমন মজাদার নাস্তা রেডি হচ্ছে দেখে শাফিন লোভ সামলাতে পারলো না, ধাম করে নাস্তার প্লেটে হাত ঢুকিয়ে দিলো। রুমাইশা একটা চাটি লাগালো শাফিনের মাথায়, তারপর ভ্রুকুটি করে বলল,
—বেয়াদব, ভালো করে হাত মুখ ধুয়ে আয় যা, পারলে গোসল দিয়ে আয়! ছ্যাদাড় কোথাকার!’
শাফিন রুমাইশার কথা কানে না নিয়ে আবার নাস্তার প্লেটের দিকে হাত বাড়ালো, সাথে সাথেই রুমাইশা প্লেট টা সরিয়ে নিজের পেছনে লুকিয়ে রেখে বলল,
—মোটেই এতে হাত দিবি না, আগে সুন্দর করে ফ্রেস হয়ে আয়, তারপর নাস্তা পাবি। ছ্যাদাড় দের কোনো নাস্তা হবে না।’
কিন্তু নাছোড়বান্দা শাফিন একে বেকে রুমাইশার থেকে নাস্তা নেওয়ার চেষ্টা করতেই থাকলো, শেষমেশ না পেরে ইনোসেন্ট মুখ করে বলল,
—আর এক পিস আপু, প্লিইজ!’
কিন্তু শাফিনের এমন ইনোসেন্টগিরি তে গলল না রুমাইশা, চোখ টিপ দিয়ে মাথা নাড়িয়ে বুঝালো যে কিছুতেই নাস্তার প্লেট শাফিন কে দেওয়া হবে না৷
শাফিন আর রুমাইশার এমন দুষ্টুমি দেখে হাসলেন রুনিয়া। তারপর শাফিন কে উদ্দেশ্য করে বললেন,
—ফ্রেস হয়ে এসে তোর সাফওয়ান ভাইয়া কে নাস্তা দিয়ে আয়। আমার এখন চুলার কাছে থেকে সরার কোনো সময় নেই।
রুনিয়ার মুখে সাফওয়ানের নাম শুনতেই কেপে উঠলো রুমাইশা। চোখে মুখে ওর হঠাৎ করেই বিষাদের ছায়া নেমে এলো, এতক্ষণ কত হাসি খুশি ছিলো ও, সাফওয়ানের ব্যাপার টা তো ভুলেই গেছিলো।
রুমাইশার হটাৎ এমন কেপে ওঠা আর চুপ হয়ে যাওয়া খেয়াল করলো শাফিন৷ আর তার এই নিরবতা যে সাফওয়ানের নাম শুনেই শুরু হয়েছে সেটাও বুঝতে পারলো। কিন্তু এরকম টা কেন হলো সেটা শাফিনের অজানাই থেকে গেলো।
সাফওয়ান কে নাস্তা দিয়ে আসতে হবে শুনে শাফিন ওখান থেকে কেটে পড়লো, যাওয়ার আগে বলে গেল,
—আমি পারবোনা, আমার ফ্রেস হতে দেরি হবে, রুমি আপু কে বলো।’
শাফিনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রুমাইশা ভাবতে থাকলো, এখন তো তাকেই যেতে হবে নাস্তা দিতে। সাফওয়ান ভাইয়া তো ফুপ্পি ছাড়া অন্য কারো ছাদে যাওয়া পছন্দ করে না! যদি ভাইয়া রেগে যায়? যদি আমার ওপর চড়াও হয়! তখন কি হবে! কামড়ে দেবে সেই ছোটবেলার মতো?’ মুখ খানা ফ্যাকাসে হয়ে গেলো রুমাইশার।
তার ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে রুনিয়া রহমান এবার সত্যি সত্যিই ওকে বললেন সাফওয়ান কে নাস্তা দিয়ে আসতে। রুনিয়া রান্নার কাজের ব্যাস্ততায় দেখতেই পেলেননা রুমাইশার মুখের সেই ভয়ের অভিব্যক্তি।
.
নাস্তার ট্রে টা নিয়ে এক পা দুই পা করে হেটে চলেছে রুমাইশা। `এখন তো সন্ধ্যা হবো হবো, ভাইয়া কি রুমের বাইরে থাকবে না ভেতরেই? যদি বাইরে থাকে! আর তাকে দেখে ফেলার অপরাধে সে যদি আমাকে এ্যাটাক করে, যদি আমাকে মেরে ফেলে!’ এসব আজগুবি ভাবনা ভাবতে ভাবতে ছাদে পৌছে গেলো রুমাইশা৷
কিন্তু তার কোনো ভাবনাই সত্যি হয়নি। সাফওয়ান নিজের রুমেই আছে, আর এক জায়গায় বসে নেই। তার চলাচলের বিভিন্ন শব্দ রুমাইশার কানে আসছে৷
রুমাইশা সাফওয়ানের রুমের জানালার থাই গ্লাসের সামনে রাখা টি টেবিলের কাছে আসতেই রুমের ভেতরের হাটাচলার শব্দ থেমে গেলো। রুমাইশার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় জানান দিচ্ছে যে এই মুহুর্তে রুমের ভেতর বিদ্যমান সেই ৬.৪ ফিট লম্বা, সুঠাম দেহি হিংস্র চোখের পুরুষ টা তাকেই দেখছে। আর সেটা অনুভব হতেই রুমাইশার হৃদযন্ত্র টা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে অস্থির ভাবে দিড়িম দিড়িম লাফাতে লাগলো। কান মাথা গরম হতে শুরু করলো রুমাইশার। প্রাণপণ চেষ্টা করলো যেন সেই পুরুষ টি তার এই ভয়ার্ত অবস্থা না দেখে।
কিন্তু সমস্ত চেষ্টা বিফলে গিয়ে উলটো রুমাইশার মস্তিষ্ক তার হাতের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললো! যার ফলে রুমাইশার ট্রে ধরা হাত দুটো আজও অস্বাভাবিক ভাবে কাপাকাপি করতে শুরু করলো৷
নিঃশ্বাস চেপে রেখে কোনো রকমে ট্রে টা টেবিলের ওপর রেখে রুদ্ধশ্বাসে ছুটে পালালো রুমাইশা। আজ আর বলার সাহস হলো না যে খাবারের ট্রে টা টেবিলে রেখেছে।
সাফওয়ান রুমাইশাকে আজ গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। এবং এটাও বুঝেছে যে রুমাইশার ভেতরে খুব বড়সড় কোনো ঘাপলা আছে, আর সেটা হয়তো তাকে নিয়েই৷ আর সাথে সাথেই সিদ্ধান্ত নিলো, রুনিয়া কে বলে রুমাইশা কে বাড়িতে ফেরত পাঠানোর ব্যাবস্থা করতে হবে৷ নইলে এভাবে চলতে থাকলে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যাবে নিশ্চিত।
১৮. দুই তিন দিনের বিরতিতে পরপর চার টা এক্সাম দিয়ে হাপিয়ে গেছে রুমাইশা। এই কয়দিন পড়ার চাপে কারো সাথে তেমন কথা বলারও ফুরসত পায়নি রুমাইশা। শাফিন অপেক্ষায় আছে কবে রুমাইশার এক্সাম শেষ হবে আর ওরা ঘুরতে যাবে। কিন্তু এক্সাম শেষই হচ্ছে না, এখনো একটা বাকি। যদিও লাস্ট এক্সাম টার আগে বেশ কয়েকদিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে৷ এক্সাম দিয়ে এসে কোনো রকমে একটু নাস্তাপানি করে বিছানায় চলে গেলো রুমাইশা৷ গত কয়েকদিনে খুব কম ঘুম হয়েছে ওর। চব্বিশ ঘন্টায় হয়তো সব মিলিয়ে পাঁচ টা ঘন্টা ঘুমিয়েছে ও। ক্লান্তিতে শরীর অবসন্ন। বিছানায় এসে গা এলিয়ে দিতেই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলো রুমাইশা।
রাতের বেলা সাড়ে দশটার দিকে রুমাইশা কে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলল রুনিয়া। রুমাইশা উঠবেনা উঠবেনা করেও শেষ পর্যন্ত রুনিয়ার জোরাজোরি তে উঠলো, কিন্তু তাকে বিছানার থেকে নামানো গেলো না। অগত্যা রুনিয়া ভাত মেখে নিয়ে এসে খাইয়ে দিয়ে গেলো। চাপাচাপি করে অল্প কয়েকটা ভাত খেয়েই আবার শুয়ে পড়লো রুমাইশা। এ ঘুম আর সারা রাতের ভেতর ভাঙবেনা।
.
শীত শীত অলসতাকে কাটিয়ে ভোর বেলা ঘুম থেকে আড়মোড়া ভেঙে বিছানা ছেড়ে উঠলো রুমাইশা। পরবর্তী আর শেষ এক্সাম টা দিয়ে এই বাড়ি থেকে যত দ্রুত সম্ভব চলে যাবে ও। এইখানে এত চাপের ভেতর থাকা ওর পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না৷ সারাক্ষণ ভয়ে ভয়েই কেটে যাচ্ছে ওর। এইভাবে মানসিক চাপ নিয়ে থাকা যায় না৷ একবার ভাবলো ছুটি গুলো বাড়িতে কাটিয়ে আসবে৷ কিন্তু বাড়িতে গেলে শুধু ওর গল্পই হয় মায়ের সাথে। পড়া আর হতে চায় না৷
বিছানা থেকে নেমে আজ ভোর সকালেই গোসল দিলো রুমাইশা। ওয়াশরুমে ঝর্নার নিচে দাঁড়িয়ে এই সুখ সুখ অনুভূতির কাছে নিজেকে বিলিয়ে দিলো। শরীরে পড়া পানির সাথে যেন ওর সমস্ত কষ্ট, খারাপ লাগা, মানসিক চাপ গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছে নিচে৷ মুখে সন্তুষ্টির হাসি ফুটে উঠলো রুমাইশার। শান্তিইই!
গোসল শেষে সাদা জমিনের ওপর আকাশি রঙের ছোট ছোট ফুলের ছাপার কামিজ আর আকাশি রঙের সালওয়ার আর ওড়না পরলো রুমাইশা। ভেজা চুল গুলো ছেড়ে দিলো পিঠের ওপর। আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজের মুখের দিকে দেখলো, মনে হলো চোখে একটু কাজল দিলে মন্দ হয়না। বহুদিন পর শখ করে কাজল দিলো চোখে। ঠোঁটে স্ট্রবেরি ফ্লেভারের লিপ গ্লোস টা থেকে সামান্য পরিমান লিকুইড ঘষে দিলো। তাতেই স্নিগ্ধ মুখখানা আর ও বেশি স্নিগ্ধতায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠলো।
নিজের এই সামান্য তম সাজগোজ টুকু শেষ করে কিচেনে রুনিয়ার কাছে গেলো।
— কি রান্না করবা আজকে ফুপ্পি?
রুনিয়া রুমাইশার দিকে না তাকিয়েই কাজ অব্যাহত রেখে উত্তর দিলেন,
—ফুলকপি দিয়ে রুই মাছ, আর পালং শাক আর সাফওয়ান এর জন্য রুটি আর সবজি’
গুটি গুটি পায়ে রুনিয়ার দিকে এগিয়ে এসে রুনিয়ার পাশে দাড়ালো রুমাইশা।
— আমাকে দাও আমি করে দিচ্ছি, তুমি পাশে বসো, ভুল হলে বলে দিও।
আবদারের সুরে বলল রুমি।
রুনিয়া সন্তোষের সহিত হেসে তাকালেন রুমাইশার দিকে। তাকিয়েই যেন রুনিয়ার চোখ জোড়া স্নিগ্ধতায় ছেয়ে গেলো।
— বাহ, তোকে তো অনেক সুন্দর লাগছে রে রুমি! তুই তো এমন সাজুগুজু করিস না, তা আজ কি মনে করে এত সকাল সকাল সাজলি? আবার গোসল ও দিয়েছিস!
রুমাইশা লজ্জা পেলো। ওড়নার খুট নিয়ে আঙুলে পেচাতে পেচাতে বলল,
—এমনিতেই ফুপ্পি, মনে হলো একটু সাজি তাই সেজেছি’ বলতে বলতে মাথা নিচের দিকে চলে গেলো রুমাইশার৷
রুনিয়া হাতের খুন্তি টা রুমির হাতে দিয়ে বললেন, ঠিক আছে, কর রান্না, আমি এখানে বসছি, বলে পাশে রাখা টুলের ওপর বসে পড়লেন৷
রুমাইশা রান্না করছে আর রুনিয়ার সাথে গল্প করছে। মাঝে মাঝে রুনিয়া দেখিয়ে দিচ্ছেন কি করতে হবে। রান্না শেষ করে ডাইনিং টেবিলে খাবার সাজালো দুজনে৷
এমন সময় শাফিন নিচে এলো, খাবার টেবিলে বসতে বসতে বলল,
— কি ব্যাপার! আজ খাবারে এত সুগন্ধ কেন! রুমি আপু রান্না করেছে নাকি? একটু বেশিই সুগন্ধ মনে হচ্ছে!
দাঁত কেলিয়ে বলল শাফিন। রুমাইশা চোখ কটমট করে তাকালো শাফিনের দিকে। তারপর বলল,
—চুপ করে খা ছ্যামড়া, বেশি বকিস না। বেশি কথা বলবি, তো তোরে কাচা তরকারি গেলাবো’
শাফিন প্লেটে তরকারি নিতে নিতে বলল,
—তোমার ওই কাচা রেসিপি তুমি দুলাভাইকে গেলাইও৷ আমি রান্না তরকারিই খাচ্ছি৷
রুমাইশা ক্ষেপে গিয়ে বলল,
—তুই কাচা তরকারি খাওয়ারই যোগ্য, কারন তুই একটা ছাগল। আমার বর কে তো আমি রোজ বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়াবো, আর তোর বিয়ের পর তোর বউকে বলে দেবো যে তোর ভেতরে ছাগলের ক্রোমোজম আছে অর্ধেক, তোকে যেন সারাদিন ঘাস পাতা খাওয়ায়৷’
শাফিন হেসে বলল,
—আমি যদি ছাগল হই তাহলে তোমার বর হবে গরু, আর তুমি হবা বকরা গরু!
রুমাইশা চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে হাতে থাকা তরকারির চামচ দিয়ে শাফিনের পিঠে একটা বাড়ি দিলো।
এমন সময় রুনিয়া এসে বলল,
—কি শুরু করলি তোরা! বড় হয়েছে সব নামে নামে! এখনো এইসমস্ত কথা বলে আর ঝগড়া করে!
রুমাইশা অভিযোগের সুরে বলল,
—তোমার ছেলে আমাকে বকরা গরু বলেছে ফুপ্পি!
সাথে সাথে শাফিন রুমাইশার কথার বিরোধিতা করে বলে উঠলো,
—আপু আমাকে ছাগল বলেছে আগে! আমি যদি ছাগল হই তাহলে তো তুমিও ছাগল, কারণ তুমি আমার মা! তাহলে তো রুমি আপু ইন্ডাইরেক্টলি তোমাকে ছাগল বলেছে!
রুমাইশা এইবার রেগে গেলো,
—দাড়া, তোর মজা দেখাচ্ছি! ‘ বলে শাফিনের চুল মুঠি করে টেনে ধরলো ও।
শাফিন ও মা গো’ বলে চিৎকার পাড়লো! এদের কাণ্ডকারখানা দেখে রুনিয়া না হেসে পারলো না৷ তাড়াতাড়ি দুজন কে ছাড়িয়ে দিয়ে সাফওয়ানের জন্য নাস্তা নিয়ে ছাদের দিকে গেলো।
এদিকে সাফওয়ান রুনিয়ার অপেক্ষাতেই বসে আছে, আজ মা কে বলে কিছু একটা ব্যাবস্থা ও করবে…….
(রিচেক করার সময় পাইনি। বানান ভুল থাকতে পারে অনেক। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷ 😐)