ফ্লোরেনসিয়া
সমাপ্তইউক্রেনের এক প্রান্তে কাস্ত্রোরুজ থর্প নামের এক জাদুকরী গ্রাম, যা এক প্রাচীন জাদুকরের বংশধরদের দ্বারা সুরক্ষিত। দেড়শো বছরের পুরনো এক প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে ওঠা রক্তপিপাসু স্যাভেরিন পরিবার সেই গ্রামের সুরক্ষাবলয় ভেঙে ফেলার জন্য মরিয়া। যখন দুই ভিন্ন জগতের লড়াই শুরু হয়, তখন কি ফ্লোরেনসিয়ার মাঝে লুকিয়ে থাকা অজানা শক্তিই পারবে তার পরিবার ও গ্রামকে এক ভয়ংকর পিশাচ সাম্রাজ্যের হাত থেকে রক্ষা করতে?
সিজন ১
(৫০ পর্ব)ইউক্রেনের এক প্রান্তে কাস্ত্রোরুজ থর্প নামের এক জাদুকরী গ্রাম, যা এক প্রাচীন জাদুকরের বংশধরদের দ্বারা সুরক্ষিত। দেড়শো বছরের পুরনো এক প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে ওঠা রক্তপিপাসু স্যাভেরিন পরিবার সেই গ্রামের সুরক্ষাবলয় ভেঙে ফেলার জন্য মরিয়া। যখন দুই ভিন্ন জগতের লড়াই শুরু হয়, তখন কি ফ্লোরেনসিয়ার মাঝে লুকিয়ে থাকা অজানা শক্তিই পারবে তার পরিবার ও গ্রামকে এক ভয়ংকর পিশাচ সাম্রাজ্যের হাত থেকে রক্ষা করতে?
এক অভিশপ্ত রাতে অতৃপ্ত আত্মাদের তাড়া খেয়ে এক তরুণী যখন প্রাণপণে ছুটছে, তখন তার সামনে এসে দাঁড়ায় এক রহস্যময় যুবক। কিন্তু পরমুহূর্তেই একই যুবকের প্রতিচ্ছবি ঘোড়সওয়ার দলের মাঝে দেখে সে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। এই দুঃস্বপ্ন কি শুধুই একটি স্বপ্ন, নাকি দেড়শো বছরের পুরনো কোনো রক্তাক্ত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির ইঙ্গিত?
একদিকে মার্শাল আর্টের কঠিন প্রশিক্ষণে সিয়ার জীবন অতিষ্ঠ, অন্যদিকে কিয়েভের স্যাভেরিন দুর্গে রক্তপিপাসু পিশাচদের জমকালো আয়োজন চলছে। শাসক এদুয়ার্দো স্যাভেরিন যখন রক্তের নেশায় শিকারে বের হয়, ঠিক তখনই তার মা তাকে এক জাদুকরের গ্রামে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এই শিকার অভিযান কি কাস্ত্রোরুজ থর্পের শান্তিপূর্ণ জীবনে ভয়ংকর কোনো ঝড় বয়ে আনবে?
দাদুর পুরোনো বই থেকে সিয়া এক নিষিদ্ধ জাদু আয়ত্ত করে ফেলে, যা গ্রামের সুরক্ষাবলয়ে ফাটল ধরায়। ঠিক সেই সুযোগেই স্যাভেরিন দুর্গের এক রক্তপিপাসু পিশাচ কাস্ত্রোরুজ থর্পে প্রবেশ করে, যার মুখোমুখি হয় ইনায়া। কৌতূহলের বশে দাদুকে অনুসরণ করতে গিয়ে ইনায়া কি পারবে এই ভয়ংকর রাতের অতিথির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে?
রক্তপিপাসু আব্রাহামের আক্রমণে ইনায়ার জীবন যখন বিপন্ন, ঠিক তখনই উইজার্ড ডিয়েটস তার জাদুর শক্তিতে তাকে রক্ষা করেন। কিন্তু এই ঘটনার পরদিন সকালে সিয়া জানতে পারে, তার বাবা তাদের ছেড়ে চিরদিনের জন্য বাড়ি থেকে চলে গেছেন। বাবার এই আকস্মিক অন্তর্ধানের পেছনে কি সত্যিই সিয়ার করা ভুল দায়ী, নাকি এর আড়ালে লুকিয়ে আছে অন্য কোনো গভীর রহস্য?
বাবাকে খুঁজে না পেয়ে সিয়া যখন পাহাড়ের চূড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়ে, তখন তার পৃথিবীটাই যেন শূন্য মনে হয়। অন্যদিকে, কিয়েভের আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে একের পর এক সুন্দরী কুমারী মেয়েরা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হতে শুরু করে। বাবার অন্তর্ধানের সাথে এই কুমারী অপহরণের ঘটনার কি কোনো যোগসূত্র আছে, নাকি ইউক্রেনের বুকে নতুন কোনো অশুভ শক্তির আগমন ঘটেছে?
ওডেসার দুভিল কোটে আব্রাহামের প্রেমে উন্মাদ অলিভার পামেলা যখন তার জন্য অপেক্ষা করছে, তখন কাস্ত্রোরুজ থর্পের অদৃশ্য সুরক্ষা ব্যারিয়ার ভাঙার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এদুয়ার্দো। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পেরে সে এক ভয়ংকর পরিকল্পনা করে। বুদ্ধি খাটিয়ে গ্রামে প্রবেশ করার জন্য এদুয়ার্দো কাকে গুটি হিসাবে ব্যবহার করতে চলেছে?
বাবার জন্য মন কেমন করায় সিয়া গভীর রাতে একাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। গহীন জঙ্গল আর দুর্গম পাহাড়ি রাস্তা পেরিয়ে সে যখন একটি গুহায় পৌঁছায়, তখন একদল ভয়ংকর বাদুড় তাকে আক্রমণ করে বসে। গিরিখাতে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে কেউ একজন তার হাত ধরে বাঁচিয়ে নেয়। কে এই অপরিচিত সাহায্যকারী? মানুষ নাকি কোনো পিশাচ?
গুহার ভেতরে সিয়া যখন এক সুদর্শন পুরুষের দেখা পায়, তখন তার অলৌকিক সৌন্দর্যে সে কিছুক্ষণের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এই ব্যক্তিটিই যখন তাকে কাস্ত্রোরুজ থর্পে নিয়ে যাওয়ার বিনিময়ে তার গলা চেপে ধরে, তখন তার আসল পরিচয় প্রকাশ পায়। উইজার্ড পরিবারের সাথে এই লোকটির শত্রুতা ঠিক কীসের?
সিয়াকে অচেতন অবস্থায় খুঁজে পাওয়ার পর উইজার্ড পরিবারে নেমে আসে নতুন বিপদ। উইজার্ড ডিয়েটস তার অলৌকিক পাথরের মাধ্যমে জানতে পারেন গ্রামে এক রক্তচোষা পিশাচ প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে, গ্রামের এক সাধারণ ব্যবসায়ী একজন সুদর্শন আগন্তুককে বাড়িতে আশ্রয় দেন। এই নতুন অতিথি কি গ্রামের জন্য নতুন কোনো অভিশাপ বয়ে আনবে?
কাস্ত্রোরুজ থর্পের সীমানায় যখন একজোড়া রক্তশূন্য মৃতদেহ পাওয়া যায়, তখন পুরো গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। প্রিয়জনদের এমন নির্মম পরিণতি দেখে সিয়ার অন্তরে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠে। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? গ্রামে লুকিয়ে থাকা সেই নতুন অতিথি, নাকি অন্য কোনো অশুভ শক্তি?
গভীর রাতে প্রলয়ংকরী ঝড়ের মাঝে সিয়া যখন তার বান্ধবী আর্নিকে এক রক্তপিপাসুর হাতে আক্রান্ত হতে দেখে, তখন সে দিশেহারা হয়ে পড়ে। কিন্তু তার দাদু বলেন, যা সে দেখেছে তার সবটাই ছিলো ইন্দ্রজাল। সিয়াকে বাড়ি থেকে বের করার এক ভয়ংকর ফাঁদ। এই ফাঁদের পেছনে থাকা পিশাচটা কে? এবং তার আসল উদ্দেশ্যই বা কী?
আর্নি যখন তার ভালোবাসার মানুষের সাথে দেখা করার জন্য সিয়াকে নিয়ে বেলাভূমিতে যায়, তখন সিয়া এক ভয়ংকর সত্যের মুখোমুখি হয়। আর্নির পছন্দের মানুষটিই যে তার পরিবারের শত্রু, রক্তপিপাসু এদুয়ার্দো! সিয়াকে অপহরণ করার জন্য এদুয়ার্দো আর্নিকে ব্যবহার করে। এই পিশাচের হাত থেকে সিয়া কি নিজেকে এবং আর্নিকে রক্ষা করতে পারবে?
সিয়াকে খুঁজতে বেরিয়ে ইনায়া যখন এক অভিশপ্ত জঙ্গলের পথে আব্রাহামের মুখোমুখি হয়, তখন সে সম্মোহিত হয়ে পড়ে। আব্রাহাম তার রক্ত পান করতে শুরু করে, কিন্তু ইনায়ার এক অতর্কিত আক্রমণে সে আহত হয়। আব্রাহাম কি প্রতিশোধ নিতে পুনরায় ফিরে আসবে, নাকি এই সাক্ষাৎ তাদের মধ্যে নতুন কোনো সম্পর্কের সূচনা করবে?
হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সিয়া যখন এক অন্ধকার গুহায় বন্দি, তখন এদুয়ার্দো তাকে এক ভয়ংকর প্রস্তাব দেয়। উইজার্ড ডিয়েটস যদি তার সাথে যেতে রাজি হন, তবেই সিয়া মুক্তি পাবে। ডিয়েটস কি তার নাতনিকে বাঁচাতে নিজের জীবন বাজি রাখবেন, নাকি এদুয়ার্দোর সাথে এক অসম যুদ্ধে লিপ্ত হবেন?
নাতনির জীবন বাঁচাতে এদুয়ার্দোর শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হন উইজার্ড ডিয়েটস। কিন্তু এর জন্য তাকে এক ভয়ংকর পানীয় পান করতে হয়, যা তাকে অচেতন করে দেয়। বাবাকে হারিয়ে এবং মেয়েকে আহত অবস্থায় পেয়ে ক্রিসক্রিংগল কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি কি পারবেন তার পরিবারকে এই ভয়ংকর বিপদ থেকে রক্ষা করতে?
দাদুর অন্তর্ধানের পর সিয়া সম্পূর্ণ বদলে যায়। তার ভেতরের ঘুমন্ত যোদ্ধা জেগে ওঠে। গভীর রাতে যখন এক রক্তপিপাসু তাদের বাড়িতে আক্রমণ করে, সিয়া একাই তার মোকাবিলা করে। সম্পূর্ণ অনুভূতিশূন্য হয়ে যাওয়া এই মেয়েটি কি পারবে তার পরিবারের ওপর নেমে আসা দুর্যোগের প্রতিশোধ নিতে?
পরিবারের সবার মন ভালো করার জন্য ক্রিসক্রিংগল এক ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। কিন্তু প্রতিযোগিতার মাঝপথে ইনায়া এক রহস্যময় যুবকের মুখোমুখি হয়, যে তাকে পথভ্রষ্ট করে। অন্যদিকে, সিয়া তার মায়ের বিশ্বাস রাখতে জেতার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এই প্রতিযোগিতা কি তাদের জীবনে নতুন কোনো বিপদ ডেকে আনবে?
ঘোড়দৌড়ে বিজয়ী হয়ে সিয়া যখন বাড়িতে ফেরে, তখন সে এক ভয়ংকর শূন্যতার মুখোমুখি হয়। বাড়ি অন্ধকার, কোথাও কেউ নেই। বারান্দায় তার দাদিন ও মায়ের রক্তশূন্য মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে তার পৃথিবীটা থমকে যায়। এই নৃশংস হত্যাকান্ডের পেছনে কে দায়ী? এদুয়ার্দো, নাকি অন্য কোনো শত্রু?
মায়ের মৃতদেহের পাশে বসে সিয়া এক ভয়ংকর প্রতিজ্ঞা করে। সে তার চোখের জল মুছে ফেলে, হয়ে ওঠে পাথরের মতো কঠিন। ঈশ্বরের নামে সে শপথ নেয়, প্রতিটি রক্তপিপাসুকে সে নিজের হাতে বিনাশ করবে। তার এই প্রতিশোধের আগুন কি তাকে নতুন কোনো পথে চালিত করবে, নাকি সে নিজেই এই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে?
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ক্রিসক্রিংগল তার পরিবার এবং কুরী পরিবারকে নিয়ে ইম্যুভিলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু পথিমধ্যে প্রাসকোভিয়া নামক এক রহস্যময় জঙ্গলে ডাকাতদের কবলে পড়ে তারা। আত্মরক্ষার জন্য যখন সিয়া ও ইনায়া লড়াই শুরু করে, তখন সিয়া মারাত্মকভাবে আহত হয়। এই বিপদসংকুল জঙ্গল থেকে তারা কি নিরাপদে বের হতে পারবে?
বহু বাধা পেরিয়ে অবশেষে সবাই ইম্যুভিলে পৌঁছায় এবং ফ্রাঙ্কলিন নামের এক বৃদ্ধের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু আব্রাহাম স্যাভেরিন ইনায়ার পিছু নিয়ে সেখানেও উপস্থিত হয়। ইনায়াকে দেখে তার মনে যে অদ্ভুত অনুভূতি হয়, তা থেকে মুক্তি পেতে সে মরিয়া হয়ে ওঠে। আব্রাহামের এই আগমন কি ইনায়ার জীবনে নতুন কোনো সংকট সৃষ্টি করবে?
গভীর রাতে এক অদৃশ্য নারী কণ্ঠ সিয়াকে অনুসরণ করতে বলে। অন্যদিকে, আব্রাহাম স্যাভেরিনের মতো দেখতে হুবহু আরেকজন—এদুয়ার্দো—একাডেমিতে উপস্থিত হয়। জমজ ভাইদের এই আকস্মিক উপস্থিতি কি সিয়া ও ইনায়ার জীবনে নতুন কোনো রহস্যের জাল বুনবে? আর কেই বা সেই অদৃশ্য নারী, যে সিয়াকে বার বার আহ্বান করছে?
একাডেমিতে সিয়াকে অপমান করায় সে এক ছাত্রীকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান করে এবং তাকে পরাজিত করে। তার পরবর্তী প্রতিপক্ষ হয় স্বয়ং চিফ মাস্টার এদুয়ার্দো। সিয়া কি পারবে তার সবচেয়ে বড় শত্রুর সাথে তলোয়ার যুদ্ধে টিকে থাকতে, নাকি এই লড়াই তার জীবনের শেষ লড়াই হবে?
এদুয়ার্দোর সাথে দ্বন্দ্বযুদ্ধের এক পর্যায়ে সিয়া অপ্রত্যাশিতভাবে তার খুব কাছাকাছি চলে আসে, যা দুজনের মধ্যেই এক অদ্ভুত আলোড়ন সৃষ্টি করে। অন্যদিকে, ক্রিসক্রিংগল প্রাসকোভিয়া জঙ্গলে মার্টিন লরেন্সের খোঁজে গিয়ে এক ভয়ংকর বিপদের সম্মুখীন হন। ক্রিসক্রিংগল কি পারবেন মার্টিনের কাছে পৌঁছাতে?
এক ঐশ্বরিক সত্তার আহ্বানে ফ্লোরেনসিয়া নিজের ভেতরের শক্তিকে নতুন করে উপলব্ধি করে এবং ফিরে পায় তার স্বর্গীয় বাহন থ্যাসোকে। অন্যদিকে, ওয়াভেল কোটে দুই ভাই এদুয়ার্দো ও আব্রাহামের মধ্যে ইনায়াকে নিয়ে শুরু হয় এক ভয়ংকর দ্বন্দ্বযুদ্ধ। যখন দুই ভাই একে অপরের শত্রুতে পরিণত হচ্ছে, তখন প্রাসকোভিয়ার গহীন অরণ্যে মার্টিন লরেন্সের মুখোমুখি হয়ে ক্রিসক্রিংগল কি পারবেন সিয়ার আসল পরিচয় প্রকাশ করতে?
গভীর রাতে এক অদৃশ্য নারী কণ্ঠ সিয়াকে তার ঐশ্বরিক সত্তা সম্পর্কে জানতে বলে এবং তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথ দেখানোর আশ্বাস দেয়। কিন্তু এই অদৃশ্য নারী কে? এবং তার সাথে সিয়ার সম্পর্কই বা কী? অন্যদিকে, আব্রাহাম ইনায়ার কামরায় প্রবেশ করে এক ভয়ংকর সত্যের মুখোমুখি হয়।
ইনায়ার মা-কে হত্যার মিথ্যা অপবাদে যখন আব্রাহাম জর্জরিত, তখন এদুয়ার্দো তাকে প্রচন্ডভাবে আঘাত করে। দুই ভাইয়ের মধ্যেকার সম্পর্ক যখন প্রায় ভাঙনের মুখে, তখন ইজাবেল কি পারবে তাদের মধ্যেকার ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে? নাকি এই ঘটনাই তাদের চিরশত্রুতে পরিণত করবে?
একাডেমিতে সিয়াকে পুনরায় অপমানিত হতে দেখে এদুয়ার্দো এক কঠিন শাস্তি নির্ধারণ করে—দ্বন্দ্বযুদ্ধ। কিন্তু সিয়া যখন বিজয়ী হয়ে এদুয়ার্দোকে তলোয়ার যুদ্ধে আহ্বান করে, তখন লড়াইয়ের এক পর্যায়ে ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। এই ঘটনা কি তাদের শত্রুতার আগুনে নতুন করে ঘি ঢালবে?
মার্টিন লরেন্সের খোঁজে প্রাসকোভিয়ার গহীন অরণ্যে ক্রিসক্রিংগল যখন এক ভয়ংকর ফাঁদে আটকা পড়েন, তখন তিনি এক রহস্যময় যুবকের দেখা পান। এই যুবক কি তার বন্ধু নাকি শত্রু? অন্যদিকে, ইম্যুভিলে আব্রাহাম স্যাভেরিন ইনায়ার কামরায় প্রবেশ করে এক অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়।
গভীর রাতে যখন এক অদৃশ্য সত্তা সিয়াকে আহ্বান জানায়, তখন সে এক স্বর্গীয় ইউনিকর্নের দেখা পায়। এই ইউনিকর্ন এবং অদৃশ্য সত্তা কি সিয়াকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে? অন্যদিকে, আব্রাহামের কামরায় প্রবেশ করে ইনায়া তার মায়ের হত্যাকারীর মুখোমুখি হয় এবং তাকে এক ভয়ংকর শাস্তি দেয়।
স্ট্রিকল্যান্ড কুরীর স্মৃতি থেকে এদুয়ার্দো যখন জানতে পারে তার মা-ই উইজার্ড পরিবারের হত্যাকান্ডের পেছনে দায়ী, তখন তার বিশ্বাসের জগৎ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। মা-ছেলের এই সম্পর্কের টানাপোড়েন কোন দিকে মোড় নিবে? এদুয়ার্দো কি পারবে তার মায়ের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে?
প্রাসকোভিয়ার গহীন অরণ্যে ক্রিসক্রিংগল যখন মার্টিন লরেন্সের গুপ্ত воинов দ্বারা আক্রান্ত হন, তখন তিনি একাই তাদের মোকাবিলা করেন। অন্যদিকে, একাডেমিতে সিয়া এবং ইনায়া নতুন করে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়, যা তাদের এক অসম দ্বন্দ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়। এই লড়াই কি তাদের জন্য নতুন কোনো বিপদ ডেকে আনবে?
গভীর রাতে সিয়ার কামরায় আব্রাহামের আগমন ঘটে, কিন্তু সে ইনায়ার পাতা ফাঁদে আটকা পড়ে। ঠিক তখনই একদল রহস্যময় রক্তপিপাসু ফ্রাঙ্কলিনের বাড়িতে আক্রমণ করে, যাদের মোকাবিলা করতে সিয়া এক শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যারিয়ার তৈরি করে। এই নতুন শত্রুরা কারা এবং তাদের উদ্দেশ্যই বা কী?
ক্রিসক্রিংগল যখন মার্টিন লরেন্সের কাছে সিয়ার আসল পরিচয়—ক্লারেসিয়া—প্রকাশ করেন, তখন মার্টিনের মনে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়। সে কি তার হারানো মেয়েকে ফিরে পেতে ক্রিসক্রিংগলের সাথে ইম্যুভিলে ফিরে আসবে? অন্যদিকে, স্যাভেরিন ক্যাসলে পিদর্কা এক নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বোনে।
বাবা ক্রিসক্রিংগল ও মার্টিন লরেন্স ইনায়ার খোঁজে প্রাসকোভিয়ার ভয়ংকর জঙ্গলে যাত্রা শুরু করে। অন্যদিকে, একাডেমিতে সিয়া যখন এদুয়ার্দোর সাথে তলোয়ার যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তখন এক অপ্রত্যাশিত ঘটনায় দুজনের মধ্যেই অদ্ভুত এক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই ঘটনা কি তাদের চিরশত্রুতার সম্পর্ককে নতুন কোনো দিকে মোড় দিবে?
ফিদেল আলেকজান্দ্রোর দিনলিপি থেকে ইনায়া যখন স্যাভেরিন পরিবারের দেড়শো বছরের পুরনো এক ভয়ংকর ইতিহাস জানতে পারে, তখন সে স্তব্ধ হয়ে যায়। যোসেফ স্যাভেরিনের মৃত্যু এবং উয়াসওয়াভার ক্ষমতার লোভের পেছনে লুকিয়ে থাকা এই সত্য কি বর্তমানের লড়াইকে নতুন কোনো মাত্রা দেবে?
ইনায়ার কোমলতার মাঝে লুকিয়ে থাকা বিধ্বংসী রূপ আব্রাহামকে বারে বারে আকর্ষণ করে। ওর মায়াজালে সে এমনভাবে জড়িয়ে পড়ে যে, নিজের পি’শাচ সত্তার বিরুদ্ধে গিয়েও ওকে রক্ষা করতে চায়। অন্যদিকে, এদুয়ার্দো তার মায়ের পাঠানো চিঠি পেয়ে এক কঠিন মানসিক দ্বন্দ্বে ভোগে। সে কি পারবে মায়ের বিশ্বাস আর নিজের কর্তব্যের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে?
স্যাভেরিন ক্যাসলের এক গুপ্ত কক্ষে বছরের পর বছর ধরে এক রমনী বন্দী হয়ে আছেন। তার সাথে পিদর্কা স্যাভেরিনের সম্পর্ক কী? অন্যদিকে, ইনায়াকে খুঁজে বের করার জন্য আব্রাহাম যখন মরিয়া, তখন পিদর্কা তাকে প্রাসকোভিয়া জঙ্গলে এক ভয়ংকর ফাঁদে ফেলার ষড়যন্ত্র করে। আব্রাহাম কি এই ষড়যন্ত্রের জাল ছিঁড়ে বের হতে পারবে?
প্রাসকোভিয়ার ভয়ংকর জঙ্গলে মার্টিন লরেন্সকে খুঁজতে গিয়ে ক্রিসক্রিংগল এক গোলকধাঁধায় আটকে পড়েন। প্রতিটি পদক্ষেপে মৃত্যুফাঁদ আর গুপ্ত যোদ্ধাদের আক্রমণ তাকে তার লক্ষ্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। তিনি কি পারবেন এই গোলকধাঁধা ভেদ করে মার্টিনের কাছে পৌঁছাতে?
এদুয়ার্দো যখন সিয়াকে ফাঁদে ফেলার জন্য তাকে একাডেমি থেকে তুলে নিয়ে আসে, তখন সে নিজেই সিয়ার পাতা এক নতুন ফাঁদে পা দেয়। সিয়ার অপ্রত্যাশিত আচরণ এবং তার স্বর্গীয় বাহন থ্যাসোর আগমন এদুয়ার্দোকে হতবাক করে দেয়। এই ‘বোকা বাঘিনী’র আসল পরিচয় কী?
ওয়াভেল কোটে ফিরে এদুয়ার্দো তার সাম্রাজ্যের ভেতরে থাকা বিশ্বাসঘাতকদের খুঁজতে শুরু করে। তার সন্দেহের তীর যখন জোসেফাইনের দিকে, তখন সে সিয়াকে ব্যবহার করে সত্যিটা বের করার পরিকল্পনা করে। এদুয়ার্দোর এই অনুসন্ধান কি তাকে তার মায়ের ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের দিকে নিয়ে যাবে?
ইনায়াকে অপহরণ করা হয়েছে জানতে পেরে সিয়া, ক্রিসক্রিংগল, এবং মার্টিন লরেন্স তাকে উদ্ধারের জন্য প্রাসকোভিয়ার ভয়ংকর জঙ্গলে প্রবেশ করে। অন্যদিকে, স্যাভেরিন ক্যাসলে আব্রাহাম কফিন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ছটফট করে। সে কি পারবে পিদর্কার পাতা ফাঁদ থেকে বেরিয়ে ইনায়াকে বাঁচাতে?
ইনায়াকে যখন প্রাসকোভিয়া জঙ্গলের এক জরাজীর্ণ কুটিরে বন্দি করে রাখা হয়, তখন সে গুস্তাভ ফ্লভেয়ারের মুখোমুখি হয়। ফ্লভেয়ার দেখতে হুবহু আব্রাহামের মতো হলেও তার উদ্দেশ্য ভয়ংকর। ইনায়া কি পারবে এই নতুন শত্রুর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে?
ইনায়াকে বাঁচাতে আব্রাহাম যখন প্রাসকোভিয়ার দিকে ছুটে যায়, তখন এদুয়ার্দোও সেখানে উপস্থিত হয়। পিদর্কার পাতা ফাঁদে দুই ভাই যখন একে অপরের মুখোমুখি, তখন তাদের মধ্যে কি পুনর্মিলন হবে, নাকি পুরনো শত্রুতা নতুন করে জেগে উঠবে?
ইনায়াকে উদ্ধার করতে গিয়ে সিয়া যখন জাদুর তলোয়ার হাতে তুলে নেয়, তখন তার ভেতরে লুকিয়ে থাকা ক্লারেসিয়ার ঐশ্বরিক শক্তি জেগে ওঠে। এই নতুন শক্তি দিয়ে সে কি পারবে ফ্লভেয়ার এবং তার সঙ্গীদের পরাজিত করতে? নাকি এই শক্তিই তার জন্য নতুন বিপদ ডেকে আনবে?
মার্টিন লরেন্স যখন সিয়ার আসল পরিচয়—প্রিন্সেস ক্লারেসিয়া স্যাভেরিন—সবার সামনে প্রকাশ করেন, তখন এক নতুন রহস্যের দ্বার উন্মোচিত হয়। সিয়া কি তার এই নতুন পরিচয় মেনে নিতে পারবে? এবং স্যাভেরিন পরিবারের সাথে তার আসল সম্পর্ক কী?
ইনায়ার প্রতি আব্রাহামের ভালোবাসা যখন তাকে সত্যের পথে চালিত করে, তখন সে এদুয়ার্দোর মুখোমুখি হয়। দুই ভাইয়ের এই লড়াই কি তাদের পরিবারের লুকানো সত্যকে সামনে আনবে? নাকি রক্তের টানে তারা আবারও একত্রিত হবে এক ভয়ংকর শত্রুর বিরুদ্ধে?
এদুয়ার্দো যখন স্যাভেরিন ক্যাসলের বেসমেন্টের গুপ্ত কক্ষে প্রবেশ করে, তখন সে তার মায়ের এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের কথা জানতে পারে। বন্দী রমনী এবং কফিনে শায়িত পাওলোর আসল পরিচয় কী? এই সত্য কি এদুয়ার্দোকে তার মায়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবে?
সমস্ত সত্য প্রকাশের পর, ক্লারেসিয়া (সিয়া) এবং স্যাভেরিন ভাইয়েরা যখন তাদের আসল শত্রু—পিদর্কা স্যাভেরিন ও গুস্তাভ ফ্লভেয়ার—এর মুখোমুখি হয়, তখন এক চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনা হয়। এই লড়াইয়ে কে জিতবে? ভালোবাসা, নাকি দেড়শো বছরের পুরনো এক ভয়ংকর প্রতিশোধ?
ভয়ংকর লড়াইয়ের শেষে যখন অশুভ শক্তির পতন ঘটে, তখন এক নতুন ভোরের সূচনা হয়। ক্লারেসিয়া, এদুয়ার্দো, আব্রাহাম এবং ইনায়ার জীবনে কি এবার শান্তি ফিরে আসবে? নাকি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে আরও নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ?